Anal Fissure: ফিসার কী ও কেন হয়? শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস ও ফিসার থেকে মুক্তি পেতে রোজ ডায়েটে কী খাবেন?
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Dec 29, 2022 | 12:34 PM
Healthy Tips: শীতকালে সাধারণত জল তুলনামূলকভাবে কম খাওয়া হয়। ফলে জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন হয়ে নানা রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধে। তবে শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ফিসার, ফিসচুলার প্রবণতা বেড়ে যায়। এগুলির নাম শুনলেও ফিসার কী, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস কেন হয়?
1 / 9
ফিসার কী? নানা কারণে মলদ্বারে আঘাত লেগে ক্ষত সৃষ্টি হয়, এই অবস্থাকে ফিসার বলে। এই ক্ষত মারাত্মক আকার ধারণ করলে মলের সঙ্গে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত ঘটে। অ্যাকিউট ও ক্রনিক এই দুধরনের ফিসারেই প্রবল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় রোগীকে। এছাড়া মলদ্বারে যে কোনও ধরনের কাটা বা ফাটল তৈরি হলে তাকে অ্যানাল ফিসার বলা হয়।
2 / 9
ফিসারের লক্ষণ: মলদ্বার থেকে স্টুল বের হওযার সময় জ্বালা জ্বালা ভাব, রক্ত পডডার লক্ষণ দেখা যায়। এমনটা হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিত্সা শুরু করুন।
3 / 9
ফিশার কেন হয়? কতকটা পাইলসের মতন। অধিকাংশ সময়েই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থাকে, তাদের পায়ুপথে মল বের করার সময় এই ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেকসময় মহিলাদের ক্ষেত্রে , ডেলিভারির সময় ফেরিনামে আঘাত লেগে ফিসার দেখা যায়। আবার কোনও কছিন অসুখও ফিসার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
4 / 9
পাইলসের ভিতরে বা বাইরে আঁচিল তৈরি হয়। মলদ্বারে এই ক্ষতে লেগে গিয়ে রক্তপাত হয়। মলত্যাগের সময় শক্ত বা বড় মল হলে এটি ঘটতে পারে। যখন এমনটা ঘটে, তখন আপনার অর্শ্বরোগের মতো মলের সময় ব্যথা এবং রক্ত হতে পারে।
5 / 9
6 / 9
পেঁপে: পেঁপেতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যা হজমশক্তির উন্নতি করে। হজম স্বাভাবিক হলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মলদ্বার ফিসারের সমস্যা অনেকটা উপশম পাওয়া সম্ভব। রোজ ডায়েটে পেঁপে রাখলে ফিসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকালে টিফিনের পর স্যালাদ হিসাবে খেতে পারেন।
7 / 9
কিশমিশ: কালো কিশমিশ ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ। ২০ থেকে ৩০টি কিসমিস সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে প্রথমে কিসমিস খাওয়ার পর কিসমিস ভেজানো জল পান করুন। তাতে ভাল উপকার পেতে পারেন। তাতে মলত্যাগ নরম করতে সাহায্য করবে।
8 / 9
সবজি স্যুপ: রাতের খাবারের জন্য আপনার অবশ্যই ভেজিটেবিল স্যুপ থাকতে হবে। শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে, মল নরম করতে সাহায্য করে। রোজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
9 / 9
দেশি ঘি: আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস বা ফিসারের মতো গুরুতর সমস্যায় ভোগেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এর কারণে অন্ত্রে জমে থাকা মলকে নরম করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।