Manicure At Home: পয়সা খসিয়ে পার্লারে নয়, রান্নাঘরের সেরা উপাদান দিয়েই হবে সুন্দর ম্যানিকিওর!
Kitchen Ingredients: পার্লারে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করার সময় নখ ও হাত-পায়ের পরিচর্চার পাশাপাশি ম্যাসাজও বেশ আরামদায়ক। তার জন্য পকেট থেকে টাকা বের করতেও হয় অনেকটা।
সুন্দর হাত কে না পছন্দ করে? সারা সপ্তাহে অফিসের কাজের চাপে নিজেক সময় দেওয়ার ফুসরত নেই। তাই উইকেন্ডে অল্প সময়ের মধ্যে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার সময় বের করে নিতেই হয়. ম্যানিকিউর ও পেডিকিউরের পদ্ধতিগুলি জটিল হওয়ায় পার্লারে যেতেই পছন্দ করেন অধিকাংশ।
পার্লারে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করার সময় নখ ও হাত-পায়ের পরিচর্চার পাশাপাশি ম্যাসাজও বেশ আরামদায়ক। তার জন্য পকেট থেকে টাকা বের করতেও হয় অনেকটা।
তবে পার্লারে গিয়ে আর খরচ করা এবার থেকে প্রয়োজন হবে না। কারণ আমার -আপনার রান্নাঘরেই রয়েছে ম্যানিকিউর করার সেরা উপাদানগুলি। পার্লারের রাসায়নিকের থেকে ভেষজ ও ঘরোয়া উপাদান অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। কোমল, সুন্দর, পরিস্কার ঝকঝকে ম্যানিকিউর হবে বাড়িতে বসেই।
লেবুর রস: সব বাড়িতেই ফ্রিজের মধ্যে পাতিলেবু মজুত করা থাকে। স্যালাদ বা অন্য সুস্বাদু রান্না করার সময় লেবুর রসের প্রয়োজন। এছাড়া হাত পরিস্কার করতেও সাহায্য করে। লেবুর একটি টুকরো নিয়ে হাতে ও আঙুলের চারপাশে ঘষুন। লেবুর রস ১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা ত্বককে খুব সহজে পরিস্কার ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
আমন্ড অয়েল: চুল ও ত্বকের যত্নের জন্য আমন্ড তেল যে দারুণ উপকারিী তা সকলেরই জানা। ম্য়ানিকিউরের জন্য এই উপকারী তেলের ম্যাসাজ অনেক বেশি কার্যকরী। ২ চা চামচ আমন্ড তেল নিয়ে তালু, আঙুলের উপর লাগিয়ে ক্রমাগত মাসাজ করুন। তাতে হাচ থাকবে নরম, উজ্জ্বল ও সুন্দর।
বেকিং সোডা: হাতের ত্বকের উপর থেকে মৃতকোষ নির্মূল করতে বেকিং সোডা হল দুর্দান্ত একটি উপকরণ। এটার জন্য একটি পাত্রের মধ্যে ২ টেবিল স্পুন বেকিং সোডা ও এ ক চা চামট জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি গোটাহাত , আঙুলের চারপাশে প্রয়োগ করে ালতো করে ম্যাসাজ করুন ।১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন গরম জল দিয়ে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি-র মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তার জেরে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। পান করে যেমন শরীরকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব, তেমনি হাতের মধ্যেও গ্রিন টি ব্যবহার করা হয়। ত্বকে ফর্সাভাব বজায় রাখতে ও জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে গরম জলে ২ টেবিলস্পুন গ্রিন টি পাতা গিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এবার সবুজ পাতাগুলি আলাদ করে হাতে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ভিজিয়ে নিন।
মধু: ভারতে মধু অত্যন্ত পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর উপাদান। যুগের পর যুগ ধরে মধুর নানাবিধ ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের জন্য মধু হল দুর্দান্ত উপকরণ। একটি পাত্রের মধ্যে ২ টেবিলস্পুন মধু আর তাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানান। ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা তো বাড়বেই, কোমল ও উজ্জ্বল হাতে পেতে সপ্তাহে ২ বার করলে আরও ভাল ফল পাবেন।