TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Aug 30, 2022 | 8:19 AM
ইন্টারনেট, ইউটিউবে প্রচুর বিউটি হ্যাকস ও ত্বকের যত্নের টিপস পাবেন শয়ে শয়ে। তাই মুখের জন্য কোনটা ভাল সেটা জানার থেকে কোনটি বেশি ক্ষতিকর তা জানা আজকাল বেশি বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে।
কিছু কিছু জিনিস অবশ্যই লাভজনক, কিন্তু অন্ধকারে মুক্তো খোঁজার মত সেইসব পদ্ধতি ও উপকরণ দিয়ে পরিচর্চা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মুখের ত্বক বাকি শরীরের তুলনায় অনেক পাতলা ও তুলনামূলকভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই আপনি যে পণ্য ব্যবহার করছেন বা যে সব জিনিসগুলি প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন, সে সম্পর্কে আগে সতর্ক থাকা উচিত।
ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন জিনিসগুলির তালিকার শেষ নেই। তবে যেগুলি ব্যবহার একেবারেই করবেন না,সেগুলি নিয়েই এখানে আলোচনা করা হল।
গরম জল: মুখ ধোওয়ার সময় কখনওই গরম জল ব্যবহার করবেন না। তাতে আপনার ত্বকের থেকে আর্দ্রতা বের হয়ে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবে। সবসময় একটি স্টিম ফেসিয়ালের মত কিছু চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু সরাসরি ত্বকের উপর গরম জল প্রয়োগ করবেন না।
আপেল সিডার ভিনিগার: স্বাস্থ্যের জন্য আপেল সিডার ভিনিগারের অনেক অবদান আছে। তবে আপনার ত্বকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে ত্বকের উপর জ্বালাভাব ও পোড়া দাগ দেখা যায়। এছাড়া কালো দাগ ও হাইপারপিগমেন্টশনও হতে পারে।
লেবুর জল: লেবুর মত সাইট্রাস ফল থেকে ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। লেবুর জল ত্বককে শুষ্ক ও ফ্ল্যাকি করে তোলে। তাতে আরও জ্বালাভাব ধরে।
টুথপেস্ট: দাঁত ব্রাশ করা ছাড়া টুথপেস্ট ত্বকের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে ত্বকের উপর গরম কিছু পড়ে গেলে সেখানে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে রয়েছে ট্রাইক্লোসান, রাসায়নিক এবং অ্যালকোহল, যা শুধুমাত্র ত্বকের জ্বালাভাব ধরবে তাই নয়, পরবর্তীকালে ত্বকের উপর হাইপারপিগমেন্টশন,জ্বালা ও পোড়ার দাগ তৈরি হতে পারে।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ত্বকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এটি আসলে ত্বকের উপর জ্বালাভাব ধরিয়ে পুড়িয়ে দিতে পারে। তার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপর হাইপারপিগমেন্টশন ঘটাতে পারে।