পিসিওএস ও পিসিওডি-এর সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। পলিসিস্টিক ওভারির ক্ষেত্রে মহিলাদের বিশেষ লাইফস্টাইল মেনে চলতে হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন এই স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ওজন বেড়ে যায়। এই শীতে ডায়েটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন এবং পিসিওডি-এর সমস্যা।
সব সময় লো কার্ব হাই ফ্যাট ডায়েট মেনে চলুন। এই ডায়েটে আপনি আখরোট, আমন্ড, ফ্ল্যাক্স সিড, অলিভ অয়েল ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে ভাল ফ্যাট রয়েছে। এগুলো ওজন বাড়ায় না এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
পিসিওএস ও পিসিওডি-এর ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। এক্ষেত্রে অ্যামিনো অ্যাসিড যুক্ত খাবার ব্যাপক ভাবে প্রয়োজন। এ জন্য ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, ভেজানো বাদাম এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পারেন।
শীতে সূর্যালোকের অভাব দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি করে। তাই শীতের ডায়েটে এমন খাবার রাখুন যার মধ্যে এই প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। এ জন্য আপনি ডিম, মাশরুম, দুগ্ধজাত পণ্য খেতে পারেন।
পিসিওএস ও পিসিওডি-এর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন কোনও খাবার খাবেন না যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। গোটা শস্য খেতে পারেন। তবে জাঙ্ক ফুড, ফ্যাটযুক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
শীতের মরশুমে বাজারে প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফল পাওয়া যায়। সেগুলো ডায়েটে রাখুন। সবজি ও ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো পিসিওএস-এর উপসর্গগুলো উপশম করতে সাহায্য করে।