TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Aug 15, 2021 | 6:34 PM
দেশ স্বাধীন হয়েছে তো বটেই, কিন্ত ফের পরাধীনতার স্বাদ অনুভব করছেন দেশবাসী। করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে আমাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে, তা নিসন্দেহেই বলা চলে। চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থেকে মানুষ এখ সত্যিই এইসব থেকে মুক্তি পেতে চাইছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি স্ট্রেসকে শরীর ও মন থেকে হঠিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে তার থেকে স্বাধীনচেতা অনুভূতির কী সুখ তা বলার নয়। যে কোনও মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনকে শান্ত ও কুল থাকতে জরুরি কাজগুলি আগে করার চেষ্টা করুন। যেগুলি তেমন গুরুত্বের নয়, সেগুলি বাদ দিয়ে কাঁধ থেকে চাপের বোঝা নামিয়ে দিন। অদিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া অনেক চাপকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
যতক্ষণ না মানসিক চাপ আমাদের প্রভাব করছে, ততক্ষণ আমরা চাপকে অবহেলা করে থাকি। প্রতিরোধমূলক পর্যায়ের জন্য আমাদের এটি করা উচিত। তাই মোকাবিলা করার প্রথম কৌশল হল মানসিক চাপ এড়ানো।
চাপ কমাতে অন্যের সঙ্গে কথা বলুন। স্ট্রেসকে প্রাথমিক স্তরেই খতম করার জন্য এই পদ্ধতি হল সেরা। প্রাথমিক পর্যায়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মানুষের কাছে এই স্বাধীনতা দেওয়া রয়েছে।
কারোর কাছে সাহায্য চাওয়া কোনও লজ্জার নয়। বরং চাপ কমাতে, মানসিক শান্তির জন্য যে কোনও বিষয়ে সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হয়। তাতে সম্পর্কগুলি অটুচ থাকে। পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জন্মায় তাতে।করোনাভাইরাসের জেরে বাইরে বা বাড়ির বাইরে জমায়েত না করাই শ্রেয়। তাই এরজন্য ভার্চুয়াল জগত তো রয়েছেই।
করোনাভাইরাসের সময় মানুষ নিজেকে পরিবর্তন ও শেখার জন্য অনেকটা সময় পেয়েছে তাই মবে মহামরীকে দুর্বল ভাবার প্রয়োজন নেই। যে কোনও জিনিস গ্রহণের সময় তা মানিয়ে নেওয়াও প্রয়োজন। পরিস্থিতি, পরিবেশকে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে সব স্তরেই খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণের।
পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাক-সবজি, তাজা ও মরসুমি ফল, বাদাম ও লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদানও রয়েছে। শরীরে কোষগুলির উন্নতি ঘটা ও মস্তিষ্ককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। উদ্বেগ, বিষন্নতা, সামাজিক প্রত্যাহার এই সব থেকে দূর করতে সাহায্য করে।