
কচুরি, বিরিয়ানি, পিৎজা খেতে ভাল লাগলেও এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য একটুও ভাল নয়। ছ'মাসে-ন'মাসে একবার এই ধরনের খাবার খেলে শরীরের উপর বেশি প্রভাব পড়ে না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর খাবার বাড়িয়ে তোলে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।

শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। তাই এই সব লাইফস্টাইল ডিজিজ জাঁকিয়ে বসার আগেই সচেতনতা গ্রহণ করুন। খাবার খাওয়ার ৩০-১৫ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ জল পান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল খাবারের মাধ্যমে পুষ্টিগুলোকে হজমে সাহায্য করে।

শরীরকে সুস্থ রাখতে খালি পেটে লেবুর জল পান করুন। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। শরীর থেকে সেই সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য লেবুর জল খুবই উপযোগী। পাশাপাশি এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

লাঞ্চ বা ডিনারের মতো খাবার খাওয়ার পর একদম বিছানায় শোবেন না। ভারী খাবার খাওয়ার পর ২০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। এই অভ্যাস হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং এতে ওজনও ঝরবে দ্রুত।

ভারী খাবার খাওয়ার ২০-২৫ মিনিট পর অবশ্যই প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন। প্রোবায়োটিক হজম স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিকের জন্য আপনি টকদই খেতে পারেন।

খাবার খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা পর অল্প পরিমাণে ফাইবার-সমৃদ্ধ ফল খান। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে এবং হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করে তুলবে। পাশাপাশি যে কোনও খাবারের সঙ্গে সবজি অবশ্যই রাখুন। এতে আপনি যে কোনও রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

যদি আপনি দিনে দু-তিনবার ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন তাহলে চেষ্টা করুন পরবর্তী খাবারগুলো হালকা করে খেতে। এতে আপনি বদহজমের সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। প্রয়োজনে আপনি লিক্যুইড ডায়েট করতে পারেন, এতে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং হজমেও সাহায্য হবে।