World Kidney Day 2022: কিডনি সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই ৮ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস! কী কী মাথায় অবশ্যই রাখবেন, দেখুন
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Mar 10, 2022 | 11:48 PM
Healthy Kidneys: শরীরের অর্ধেক কাজই করে কিডনি। তাই এই অতিমূল্যবান অঙ্গকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব সকলের। দেহের প্রতিটি কাজকর্মে যার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁকে বিশেষ নজর দিয়ে দেখভাল ও যত্ন নেওয়া দরকার। কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের কয়েকটি অভ্যাসের বদল আনতে হবে।
1 / 11
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বিশ্ব জুড়ে মানুষের মধ্যে কিডনির স্বাস্থ্য, কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে এদিন।
2 / 11
কিডনি রোগ হল নীরব ঘাতক। প্রারম্ভিক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ কোন লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াই দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস বা মধুমেহ এবং উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। কিডনির কর্মক্ষমতা কমতে কমতে যখন অকার্যকারিতার একটি বিশেষ স্তরে পৌঁছে যায়। তখন তাকে ‘কিডনি-ব্যর্থতা’বা ‘কিডনি ফেলিওর’ বলা হয়।
3 / 11
কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শিশু, যুবক ও বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রেই সুস্থ কিডনির গুরুত্ব অপরিসীম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, রক্ত থেকে বর্জ্য পণ্য, অতিরিক্ত জল এবং অন্যান্য অমেধ্য ফিল্টার করে এই কিডনি। এই বর্জ্য পণ্যগুলি আপনার মূত্রাশয়ে জমা হয় এবং পরে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয়।
4 / 11
শরীরের পিএইচ ভারসাম্য, লবণ এবং পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই বিনসের মতো দুটি অপরিহার্য অঙ্গ। শুধু তই নয়, হরমোন তৈরি করে ‘রেনিন’, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ‘ইরিথ্রোপয়েটিন’ লাল রক্তকণিকা তৈরি করে।
5 / 11
শরীরের অর্ধেক কাজই করে কিডনি। তাই এই অতিমূল্যবান অঙ্গকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব সকলের। দেহের প্রতিটি কাজকর্মে যার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁকে বিশেষ নজর দিয়ে দেখভাল ও যত্ন নেওয়া দরকার। কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের কয়েকটি অভ্যাসের বদল আনতে হবে।
6 / 11
নিজেকে সক্রিয় ও ফিট রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতে, হৃদপিন্ডকে সুস্থ করে তুলতে বেশ কার্যকরী। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, এমনকি নাচও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার।
7 / 11
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ এবং উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষগুলি রক্তে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, তখন আপনার কিডনি রক্তকে ফিল্টার করার জন্য অতিরিক্ত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়। বছরের পর বছর ধরে এমন পরিশ্রম, প্রাণঘাতী হতে পারে।
8 / 11
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপও শরীরের উপর বেশ প্রভাব বিস্তার করে। জীবনধারা এবং খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন এই সময়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে যাই সিদ্ধান্ত নিন না কেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিতে হবে।
9 / 11
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং কিডনি রোগ। ফুলকপি, ব্লুবেরি, মাছ এবং গোটা শস্যের মতো প্রাকৃতিকভাবে কম সোডিয়ামযুক্ত তাজা উপাদান খাওয়ার অভ্যেস করুন।
10 / 11
দিনে আট গ্লাস জল পান প্রয়োজন। নিয়মিত জল খাওয়া আপনার কিডনির জন্য সুস্থতার লক্ষণ। ঠিক কতটা জল আপনার প্রয়োজন তা মূলত আপনার স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে। যাদের আগে কিডনিতে পাথর হয়েছে তাদের ভবিষ্যতে পাথর জমা রোধ করতে একটু বেশি জল পান করা উচিত।
11 / 11
ধূমপান আপনার শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপান কিডনিকেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান বন্ধ করলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।