Navratri 2022: ৯ দিনে ৯ জায়গায় নবরাত্রির গুরুত্ব ও মেজাজ কেমন, দেখে নিন ছবিতে
Navaratri in India: নবরাত্রির সময় ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দ্যুতি যেন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। গুজরাট থেকে কলকাতা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত এই সময় আলোকিত হয়ে থাকে।
নবরাত্রির সময় ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দ্যুতি যেন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। গুজরাট থেকে কলকাতা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত এই সময় আলোকিত হয়ে থাকে।
ভারতীয় রেলপথের হাত ধরে এই বছর চৈত্র নবরাত্রির পর থেকে উত্সবের মরসুমে পরিষেবাতে আরও ট্রেন যুক্ত করার খবর পাওয়া যায়।
এই উত্সবের মেজাজ শুধু পুজো-পার্বণেই আটকে নেই। রয়েছে নানা ইতিহাস, রীতি ও হিন্দু শাস্ত্রের গুরুত্ব। সারা দেশে যদি নবরাত্রি রেশ ধরতে চান, তাহলে এই ৯টি জায়গা আপনাকে যেতেই হবে।
কাটরা, জম্মু ও কাশ্মীর: নবরাত্রি মানেই দেবীপক্ষের প্রস্তুতি। জম্মু ও কাশ্মীরের অত্যন্ত জনপ্রিয় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরকে সুন্দর করে ফুল ও আলো দিয়ে সাজান হয়। সকাল তিনটে থেকে মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরু করেন ভক্তরা। চলে সেই মধ্যরাত পর্যন্ত। এই বছর জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার রুটও ইতোমধ্যে পূর্ণ। নবরাত্রি হিসেবে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের জন্য আইআরসিটিসি ২টি নয়াট্রেন চালু করেছে। এই সেপ্টেম্বরেই ভক্তরা সেই ট্রেন পরিষেবা পেতে পারেন।
মহীশূর- এখানে নবরাত্রি নদহব্বা উত্সব হিসেবে পালিত হয়। শুধু ভারতীয়রাই নয়, বহু বিদেশি পর্যটকও এই উত্সবে সামিল হোন। টানা ১০দিন ধরে চলে উত্সব। ১৬১০ সালে নবরাত্রির সময় রাজা ওদেয়ার প্রথম রীতি মেনে পুজো করেছিলেন। সেই রীতি এখনও মানা হয়। মহানবমীতে রয়্যাল তরবারির পুজো করে দশমীর দিন চামুণ্ডেশ্বরীর প্রতিকৃতিটি হাতির উপর বসিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হয়।
কুলু, মানালি- নবরাত্রির ১০দিন বা দশমীর দিন এখানে ধূমধাম করে পুজো করা হয়। অযোধ্যার বনবাসের ১৪ বছর নির্বাসনজীবন কাটিয়ে রামচন্দ্রের প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে এখানে দশেরা পালন করা হয়। পুরো উপত্যকা আলোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে। উত্সবকে কেন্দ্র করে লোকসংগীত, নাচ-গান, নাটক, অভিনয় পালার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
কলকাতা- দুর্গাপুজোর জন্য যে শহর সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে, সেখানে জাঁকজমকের যে কমতি থাকবেনা, তা বলাই বাহুল্য। দেবী মূর্তি, প্যান্ডেল, খাওয়া-দাওয়া, বাড়িতে অতিথি আসে, প্রতিমা সাজানো থেকে পুজোর ভোগ,সবকিছু নিজেরে চোখে দেখতে হলে নূন্য়তম ৩ মাস আগে থেকে কলকাতা আসার ট্রেনের টিকিট বুক করতে হয়।
অহমদাবাদ- এখানে দেবীর নয়টি রূপকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারপর গবরা লোকনৃত্য়ের মাধ্য়মে উত্সবের আয়োদন করা হয়। পুরুষ, মহিলা ও শিশু- সকলে মিলেই এই সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। দেবীর নয়টি রূপের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শনের জন্য ভক্তরা ৯দিন ধরে উপবাস পালন করেন।
বাস্তার- দীর্ঘতম নবরাত্রির উত্সব হিসেবে ছত্তিশগঢ়ের বস্তার জেলায় নবরাত্রি পালন করে হয়। দন্তেশ্বরী মন্দিরের বিশাল কাঠের রথে দেবতাদের বহন করে শোভাযাত্রা পালন করার আচার অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব রয়েছে।
বিজয়ওয়াড়া- বাথুকাম্মা পান্ডুগা যাকে বিজয়ওয়াড়ায় স্থানীয় ভাষায় নবরাত্রি বলা হয়। নয়দিন ধরে দেবী মহাগৌরীকে পুজো করা হয়। এই সময় মহিলারা বিভিন্ন ফুল ব্যবহার করে ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে। কৃষ্ণা নদীর তীরে কনক দুর্গা মন্দিরের হিন্দু শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়।
বারাণসী- শহরের প্রতিটি কোণে যেন দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিভাবান শিল্পীরা কাহিনি বলে শিল্পের মাধ্য়মে রামচরিতমানসের অভিনয় করা হয়। প্রায় একমাস ধরে চলা এই উত্সবের আরও একটি আন্তর্জাতিক ও জনপ্রিয় অনুষ্ঠান রামনগর কি রামলীলা অভিনয় করে নাটক করা।
মুম্বই- নবরাত্রিকে বছরের সবচেয়ে পবিত্র সময় বলে গণ্য করেন মুম্বইবাসিন্দারা। এই সময় সম্পত্তি বিনিময় করা, ব্যবসায় নয়া চুক্তি করা এগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিবাহিত মহিলারা এই নয়দিন বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। সিঁদুর, হলুদ লাগিয়ে , একে অপরকে উপহার দিয়ে এক মিলনমেলা পরিণত করা হয়।