Pele Death: প্রাণের শহরে ফুটবল সম্রাট, স্মৃতিপটে এখনও উজ্জ্বল তিলোত্তমায় পেলে’র আগমন
TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী
Dec 30, 2022 | 7:30 AM
কলকাতাকে বলা হয়, ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। বাঙালিদের হদয়ে ফুটবল, যেখানের এক কোণে চিরস্থায়ী জায়গা রয়েছে ফুটবল সম্রাট পেলের। বাঁ পায়ের জাদুকর কি সত্যিই রক্তমাংসের মানুষ? সন্দিগ্ধ অন্ধ ফুটবল সমর্থক বাঙালির 'ছুঁয়ে' দেখার সুযোগ এসেছিল ১৯৭৭ সালে। সূদূর ব্রাজিল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো ওরফে পেলে। ৮২ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণের পর স্মৃতির পাতা ওল্টাচ্ছে ডিসেম্বরের শহর।
1 / 8
এ দেশ, এ শহরে একাধিকবার পা পড়েছে তাঁর। প্রথমবার ১৯৭৭ সালে যখন তাঁর কলকাতায় আগমন ততদিনে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন। পেশাদার জীবনও অস্তাচলে। নিউইয়র্কের কসমসের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে তিলোত্তমায় আসা তাঁর। পেলের কসমস বনাম কলকাতার এক প্রধান মোহনবাগান। ১৯৭৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচ ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। ৮০ হাজার দর্শককে উদ্বেল করে ম্যাচ শেষ হয় ২-২ ব্যবধানে। (ছবি:টুইটার)
2 / 8
মহানগরী সেদিন বেশ ভিজেছিল। মোহনবাগান দলে সুব্রত ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপা, মহম্মদ হাবিব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সবুজ মেরুনের তেকাঠির নিচে শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনে তিনটে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের মহানায়ক। সেদিন গোলে সহায়তা করলেও স্বর্গোদ্যানের আশি হাজার দর্শক ব্রাজিল কিংবদন্তির গোল চাক্ষুষ করেননি। কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আটকে দিয়েছিল ফুটবল সম্রাটকে।(ছবি:টুইটার)
3 / 8
কিন্তু পেলে নামক মানুষটিকে কয়েকটা গোল বা জয়ের পরিসংখ্যান দিয়ে মাপা যায় না। সবুজ মাঠে কবিতার ছন্দের মতো তাঁর পায়ের কারুকার্য মুগ্ধ করেছিল ফুটবল প্রেমীদের। যাঁরা ফুটবল নামক সুন্দর খেলাটিকে ভালোবাসেন, এই খেলায় নান্দনিকতা খোঁজেন, তাঁদের কাছে চোখের সামনে পেলেকে খেলতে দেখাটাই আনন্দের। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতাবাসী। পরদিন দেশীয় ইংরেজি সংবাদপত্রের হেডিং ছিল, "Pele brought Kolkata to a standstill"।(ছবি:টুইটার)
4 / 8
দ্বিতীয় বার ফুটবল সম্রাট যখন কলকাতায় এলেন ততদিনে বার্ধক্য শরীরকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধেছে। মাঠে নেমে খেলার মতো পরিস্থিতি একেবারেই নেই। ততদিনে তিনটে অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে কী? পঁচাত্তরের মানুষটিও যে ম্যাজিক করার ক্ষমতা রাখেন। ১৯৭৭ সালের মুগ্ধতা, স্মৃতি নিয়ে ফুটবল সম্রাটের দ্বিতীয় বার কলকাতায় পা রাখার অপেক্ষায় লাখো মানুষ ভিড় করে দমদম বিমানবন্দরের বাইরে। এক ঝলক দেখার আকাঙ্খায় মধ্য কলকাতায় তাঁর হোটেলের সামনেও ছিল জনসমুদ্র। সালটা ২০১৫। (ছবি:টুইটার)
5 / 8
কপালে বলিরেখা,দীর্ঘ যাত্রায় মুখ শুকনো হলেও তাতে অমলিন হাসি। ইচ্ছে থাকলেও মানুষের ভিড়ে মিশে যেতে পারছিলেন না। বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল শরীর। ফুল দিয়ে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে কলকাতায় স্বাগত জানান চুনী গোস্বামী। (ছবি:টুইটার)
6 / 8
তিনদিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক শো, পুজোর উদ্বোধন, দিল্লিতে ফুটবল সংক্রান্ত অনুষ্ঠান। দেখা হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মমতার হাতে এঁকে দিয়েছিলেন সৌজন্যের চুম্বন। (ছবি:টুইটার)
7 / 8
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর যুবভারতীতে আইএসএলের ম্যাচ। কিংবদন্তিকে দেখার টানে নিমেষে শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের টিকিট। গ্যালারিতে বসে এটিকের ম্যাচ উপভোগ করেন। আর গোটা স্টেডিয়ামের চোখ তাঁর দিকে। খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। তার আগেই স্টেডিয়াম ছাড়েন। (ছবি:টুইটার)
8 / 8
৭৭'এ ইডেনের সবুজ গালিচায় তাঁর বিচরণ দেখেছিল তিলোত্তমাবাসী। ৩৮ বছর পরও তাঁকে নিয়ে একই উন্মাদনা। কালের নিয়মে একসময় ঝাপসা হয়ে ওঠা স্মৃতিগুলো আজ ফের স্মৃতিপটে ভেসে আসছে। ডিসেম্বরের শহর পুরনোর বিদায়, নতুন আগমনের অপেক্ষায় দিন গুণছে। ঠিক সেইসময় সূদূর সাও পাওলো থেকে এল 'খবর'। তিলোত্তমায় 'কালো মানিক'-এর ফেলে যাওয়া স্মৃতিতে কাবু এ শহর। (ছবি:টুইটার)