কথিত আছে যে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে দেবী লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন। ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকলে, সেই গৃহে কখনও দুঃখ বা দারিদ্র্য কাছে ঘেঁসে না।
হিন্দুধর্মে, বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুকে উত্সর্গ করা হয়। সপ্তাহের এই বিশেষ দিনে বিষ্ণুদেবকে হিন্দু রীতি-নীতির সঙ্গে পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, গুরুবার মানেই লক্ষ্মীর দিন হিসেবে মনে করা হয়।
বৃহস্পতিবার দেবগুরু বৃহস্পতিকে উৎসর্গ করা হয়। দেবগুরুর কৃপায় যে সব রাশির জাতকদের মধ্যে বৃহস্পতির দশা দুর্বল,সেই জাতকদের অবশ্যই বৃহস্পতিবার গুরু বৃহস্পতির পুজো করা উচিত।
শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চললে, ভক্তরা অত্যন্ত লাভবান হয়ে থাকেন। বিশেষ করে বৃহস্পতি গ্রহকে শক্তিশালী করতে বৃহস্পতিবার হলুদের প্রতিকার মেনে চলা উচিত।
যদি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে চান তবে বৃহস্পতিবার উপবাস রাখুন ও নিয়ম-কানুন মেনে পূজা করুন। এরপর ছোলার ডাল ও হলুদ দান করুন। এতে করে ভগবান বিষ্ণুর কৃপা বজায় থাকবে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির সামনে এক চিমটি হলুদ নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ আসে।
কঠোর পরিশ্রম করার পরেও, একজন ব্যক্তিকে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতি হলে বুঝতে হবে বৃহস্পতি রাশিতে দুর্বল থাকে।
সেই কারণেই বৃহস্পতিবার হলুদের পিণ্ড থেকে একটি মালা তৈরি করে ভগবান গণেশকে অর্পণ করুন। এই প্রতিকার করলে কর্মে আসা সকল বাধা দূর হয়, সাফল্য অর্জন করতে পারেন।
দীর্ঘ সময় ধরে পাওনা টাকা হাতে না এলে বৃহস্পতিবার এই বিশেষ প্রতিকার গ্রহণ করা উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এদিন কিছু চাল নিয়ে তাতে হলুদ মিশিয়ে ওই চাল একটি লাল রঙের কাপড়ে বেঁধেআলমারিতে রেখে দিন। ফল মিলবে হাতেনাতে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন তবে বৃহস্পতিবার জলে হলুদ ও জাফরান মিশিয়ে নিতে পারেন। সেই মিশ্রণটি দিয়ে আলমারির সামনে একটি স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করতে পারেন।