মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চিন্তা করা ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই শরীরে ব্লাড সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি অন্যান্য রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিসের আরেকটি বড় কারণ হল শরীরচর্চা না করা।
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গা বসে কাজ করা। মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে শুয়ে বসে থাকা মানুষের মধ্যে বাড়িয়ে দিচ্ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। যেহেতু টাইপ-২ ডায়াবেটিস একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ তাই একে বশে রাখতে গেলে আপনাকে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতেই হবে।
সময়ের অভাবে এখন অনেকেই যোগব্যায়াম করেন না। এতে বাড়ে নানা রোগের ঝুঁকি। যার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। তাই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে রোজ যোগব্যায়াম বা প্রাণায়ম করুন। আপনি শশাঙ্কাসন, মান্ডুকাসন, ভুজঙ্গাসন, বালাসন, ধনুরাসন করতে পারেন।
যদি ব্যায়াম করার সময় না থাকে তাহলে হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, সাঁতার কাটার মতো কাজগুলো আপনি করতে পারেন। এগুলোতেও শরীর সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে রক্তে শর্করার মাত্রা। কিন্তু বয়স যদি বেশি হয় আর এই কাজগুলোও যদি করতে না পারেন, তাহলে কী করবেন?
সারাদিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটুন। হাঁটলে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকে। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটলেই অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি ৪৫ মিনিট ঘড়ি ধরে রোজ হাঁটুন।