Kartik Puja 2022: কার্তিকের একটি নয়, ছয়টি মাথা! পুরাণ অনুসারে, কার্তিক আসলে কে?
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Nov 17, 2022 | 6:50 AM
Significance of Kartik Puja: বাংলায় সন্তানহীন দম্পতিরাই কার্তিক পুজো করে থাকেন। এছাড়া বাঙালি ঘরের মেয়েরা শিবের মত স্বামী পাওয়ার জন্য উপবাস রেখে প্রার্থনা করেন।
1 / 8
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিক সংক্রান্তিতে সারা বাংলা জুড়ে কার্তিক পুজো পালিত হয়। কার্তিক মাসের শেষ দিনেই এই পুজো ধুমধমা করে পালিত হয়। তবে বাংলায় কার্তিক পুজোর চল না থাকলেও দক্ষিণ ভারতে অত্যন্ত ধুমধাম করে পুজো করা হয়।
2 / 8
বাংলায় সন্তানহীন দম্পতিরাই কার্তিক পুজো করে থাকেন। এছাড়া বাঙালি ঘরের মেয়েরা শিবের মত স্বামী পাওয়ার জন্য উপবাস রেখে প্রার্থনা করেন। ওড়িশায় কার্তিক পুজো হয় দুর্গাপুজোর পরের পূর্ণিমার দিনে। কোজাগরী পূর্ণিমার দিনই পালিত হয় কুমার পূর্ণিমা।
3 / 8
ওড়িশায় কুমার কার্তিকেয়, হিমাচল প্রদেশের চাম্বাতেও কার্তিক পুজো করা হয়। পুরাণ অনুসারে, কৃত্তিকা নক্ষত্রে তাঁর জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ছয় কৃত্তিকার দ্বারা তিনি পুত্ররূপে পূজিত হন বলে তাঁকে কার্তিকেয় বা কার্তিক বলা হয়। কার্তিকের রয়েছে বিভিন্ন নাম। যেমন গুহ, পাবকি, মহাসেন, কুমার, গাঙ্গেয়, বিশাখ, নৈগমেয়, কুক্কুটধ্বজ। পুরাণ অনুযায়ী কার্তিক হলেন দেবী গঙ্গার পুত্র। তাই তিনি কুমার নামে খ্যাত। অন্যদিকে পার্বতীর পুত্রের নামে স্কন্ধ। অগ্নিপুত্র হওয়ায় তাঁকে গুহ-ও বলা হয়।
4 / 8
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, তারকাসুর বধের জন্যই শিব ও পার্বতীর পুত্র হিসেবে জন্ম হয়েছিল। দক্ষযজ্ঞে সতী দেহত্যাগ করলে শিব অত্যন্ত কঠিন তপস্যায় চলে যান। সেই সময় ত্রিলোকে তারকাসুর নামে এক অসুর সকলের ঘুম কেড়ে নেয়। তাঁকে হত্যা করার জন্য পার্বতীকে কার্তিকের জন্মগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন দেবতারা।
5 / 8
বিপদের আশঙ্কার আঁচ পেয়ে পার্বতীর নিরন্তর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে শিব পুত্রলাভের জন্য পার্বতীর সঙ্গে বিবাহ করেন। শিব ও শক্তিরূপিনী পার্বতীর মিলনে তেজস্বী এক অগ্নিপিণ্ডের সৃষ্টি হয়। সেই অগ্নিপিণ্ড গঙ্গানদীতে গিয়ে পড়ে।
6 / 8
সেই অগ্নিপিণ্ড বনবাসিনী ৬ জন কৃত্তিকার গর্ভে ভাগ হয়ে যায়। ৬টি মাথাবিশিষ্ট ষড়ানন কার্তিকের জন্ম হয় তারপর। কার্তিকের ৬টি মাথা থয় রিপুর প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
7 / 8
স্কন্দপুরাণ ও অন্যান্য পুরাণেও এর উল্লেখ রয়েছে। কার্তিক হলেন দমনের প্রতীক। বাহন ময়ূর হল সৌন্দর্য ও দক্ষতার প্রতীক। তিনি যুদ্ধের প্রতীকী দেবতা হিসেবে পূজিত হন।
8 / 8
পুরাণ অনুযায়ী, বাল্য বয়সেই তাঁর বীরত্বে দেখে দেবসেনাপতিতে নিযুক্ত করেন দেবতারা। ইন্দ্রদেব ও দেবসেনাগনের সাহায্যে তিনি মহাবলী তারকাসুরকে বধ করেন।