একেই বলে কাজের প্রতি একাগ্রতা, নিষ্ঠা বা টান, যখন এক শিল্পী নিজের কমিটমেন্ট বজায় রাখার জন্য যে কোনও পর্যায় প্রর্যন্ত যেতে রাজি থাকে, ঠিক সেই মুহূর্তেই মেলে তাঁর সঠিক শিল্প সত্ত্বার পরিচয়।
আর সেই তালিকাতে যে ঐশ্বর্যের নাম থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। যেকোনও অভিনয় দেখতে বেশ সুন্দরই লাগে পর্দায়, কিন্তু তাঁর পেছনের কাহিনি সর্বদা রঙিন হয় না।
ঐশ্বর্যের ক্ষেত্রেও তেমন স্মৃতি বর্তমান। ছবির নাম দেবদাস। ভারী পোশাক, সঙ্গে সাজ সব মিলিয়ে কোথাও যেন বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন সেই পরিস্থিতিতেও মুখে হাসি বজায় রেখেছিলেন ঐশ্বর্য। কানে বড় বড় দুল। ভার সামলাতে পারছিলেন না তিনি। কান থেকে একটা সময়ের পর ঝরতে থাকে রক্ত।
মুখ বুঁজে হাসে মুখে নেচে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। গ্ল্যামার উপচে পড়ছিল সেই সময়। বোঝা দায়, যে তাঁর ভেতরে ঠিক কতটা যন্ত্রণা ছিল। পরবর্তীতে তিনি তা প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
শট শেষ হলে তিনি জানান, তখন শুরু হয় চিকিৎসা। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এমন কি ঐশ্বর্য নিজেই সেই খবর নিয়ে চর্চা করেছিলেন।