নয়া দিল্লি: পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃ্দ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মধ্যবিত্তের। জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীক জিনিসের দাম। যারা গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের অবস্থাও তথৈবচ! গাড়ি চালানোর জন্য তেলের টাকা জোগাড়ে একেবারে হিমসিম অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল ডিজেল (Petrol diesel price) চালিত গাড়ির বদলে ই-ভেহিকল কেনার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ছবি- প্রতীকী চিত্র
ই-ভেহিকল (e Vehicle) চালানোর জন্য জ্বালানির প্রয়োজন নেই। মূলত ব্যাটারিতেই চলে এই বিশেষ ধরনের গাড়ি। একবার চার্জ দিলেই অনেক দূর অবধি যাওয়া যায় পাশাপাশি এই ধরনের গাড়ি চালালে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও কমে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে, দিল্লি সরকারের পরিবহণ বিভাগে নথিভুক্ত মোট যানবাহনের সংখ্যার ৭ শতাংশই বৈদ্যুতিক যানবাহন ছিল, সেখানে সিএনজি গাড়ির সংখ্যা ছিল ৬ শতাংশ। ছবি- প্রতীকী চিত্র
রবিবার, দিল্লি পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছে, বিগত কয়েক মাসে রাজধানীতে সিএনজি এবং পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনার বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে নথিভুক্ত হয়ছে। ছবি- প্রতীকী চিত্র
দিল্লির পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৫১ হাজার নতুন গাড়ি সরকারে কাছে নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি সংখ্যা ৭ হাজার ২৫৭ টি, সিএনজি চালিত গাড়ির সংখ্যা ৬ হাজার ৮৫৭ টি এবং সিএনজি ও পেট্রোল উভয়েই চলে এরম গাড়ির সংখ্যা ৭ হাজার ২৫৭ টি এবং পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা ৯৩ হাজার ৯১ টি। ছবি- প্রতীকী চিত্র
দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাশ গেহলট (Kailash Gahlot) জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির আমাদের সরকার যে নীতি নিয়েছিল সেই নীতির ফলাফল যথেষ্ট ইতিবাচক। এই ধরনের যানবাহন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Chief Minister Arvind Kejriwal) স্বপ্ন অনুসারে দিল্লিকে আমরা দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির রাজধানী করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ছবি- প্রতীকী চিত্র