অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর গত বছর তাঁর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি এই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না বলে খবর ছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবছেন। খবরও এও রয়েছে যে সামান্থা তাঁর সদগুরু জগদীশ বাসুদেবের কাছে আবার প্রেম খোঁজার এবং দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
সইফ আলি খান সিনিয়র অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের প্রেমে পড়েন এবং ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু ২০০৪ সালে দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। সইফ পরে করিনা কাপুর খানকে বিয়ে করেন। তাঁরা ৪-৫ বছর ডেট করার পর ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন।
করণ সিং গ্রোভার বিপাশা বসুর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং দুজনেই খুব শীঘ্রই বাবা-মা হতে চলেছেন। করণ এর আগে ২০০৮ সালে শ্রদ্ধা নিগমকে বিয়ে করেছিলেন, সেই বিয়ে এক বছরের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে তিনি ২০১২ সালে জেনিফার উইঙ্গেটের সঙ্গে বিবাহ বন্ধন আবদ্ধ হন। সেই বিয়েও ২০১৪ সালে ভেঙে যায়। শেষে বিপাশার মধ্যে করণ তাঁর প্রকৃত ভালবাসা খুঁজে পান।
বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ১৯৯১ সালে সহ অভিনেত্রী রিচা শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে ব্রেন টিউমারের কারণে তিনি মারা যান। সঞ্জয় পরে ১৯৯৮ সালে মডেল রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেন এবং ২০০৫ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে তিনি ২০০৮ সালে মান্যতাকে বিয়ে করেন।
জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী নীলম কোঠারি দ্বিতীয় বিয়েতে তাঁর জীবনের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন। এর আগে, তিনি ২০০০ সালের অক্টোবরে ব্যাংককে ঋষি সেথিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে তিনি ২০১১ সালে সমীর সোনির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। ২ বছর পর নীলম-সমীর শিশুকন্যা অহনাকে দত্তক নেন।
অভিনেত্রী কিরণ খের ১৯৭৯ সালে মুম্বই-ভিত্তিক ব্যবসায়ী গৌতম বেরিকে বিয়ে করেন। দুজনের এক ছেলে সিকান্দার। ১৯৮৫ সালে তাঁর গৌতমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিরণের কলেজের বন্ধু ছিলেন অনুপম খের। পরে তাঁকেই তিনি বিয়ে করেন।
নীলিমা আজিম ১৯৭৫ সালে পঙ্কজ কাপুরের সঙ্গে্ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৩ বছর পর তাঁরা শাহীদ কাপুরের বাবা-মা হন। ১৯৮৪ সালে তাঁদের বিয়ে ভেঙে যায়। নীলিমা অভিনেতা রাজেশ কট্টরকে বিয়ে করেন এরপর। দম্পতির এক ছেলে ইশান কট্টর। এই বিয়েও টেকেনি নীলিমার। তিনি তৃতীয়বার রাজা আলি খানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেও ২০০৯ সালে সেই বিয়ে থেকে সরে আসেন নীলিমা।