শীতের দিনে চারিদিকে রকমারি খাবারের হাতছানি। আর সেই তালিকায় কী না থাকে! পিঠে-পুলি-পায়েস থেকে শুরু করে রকমারি মাংস সব কিছুই থাকে। শীতের দিনে আবহাওয়া ভাল থাকায় সকলেই মুখরোচক খাবার খেতে চান
এই সময় নিমন্ত্রণও তুলনায় অনেক বেশি থাকে। ফলে এদিক এদিক খাওয়া দাওয়া হয়েই থাকে। শীতের দিনে অধিকাংশই প্রয়োজনের তুলনায় জল কম খান। জল কম খেলে খাবার হজম হয় না আর সেখান থেকে একাধিক সমস্যাও আসে
শীতের রাতে শরীরে কোনও রকম সমস্যা হলে নিজেকেই বিপদে পড়তে হবে। তাই শীতের দিনে এই সব খাবার থেকে অবশ্যই নিজেকে দূরে রাখবেন। খাবার আমাদের শক্তি যোগায়। তবে তা কিন্তু বুঝে খেতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খেলেও পড়তে পারেন বিপদে
আবার খাবারের মধ্যে পুষ্টিকর অনেক উপাদান থাকে। এবার খাবার এমনভাবে খেলেন যাতে তার পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কোনও কাজের কাজ হবে না। দেখে নিন শীতের রাতে কোন সব খাবার
শীতের দিনে কফি খেতে বেশ ভাল লাগে। আর তাই এই সময় অনেকেই কাপের পর কাপ কফি খান। তবে সন্ধ্যের পর কোনও কফি নয়। খেতে ভাল লাগলেও সন্ধ্যের পর কফি খেলে হজমের সমস্যা থাকে। ঘুম কম হয়, অ্যাসিডিটিও হতে পারে
টকদই শরীরের জন্য ভাল। টকদই দিয়ে বানানো রায়তাও ভাল। রাতে দই খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। বিশেষ করে যাঁদের সর্দি-কাশির ধাত, তাঁদের রাতে টক দই না খাওয়াই ভাল। এমনিতেই চিকিৎসকরা বলেন, সূর্য ডোবার পর দই খেলে শরীরের অন্দরে মিউকাস জমতে শুরু করে।
অনেকেই ডায়েটের কারণে রাতে স্যালাড খান। তবে কাঁচা শাকসব্জির স্যালাড রাতে না খাওয়াই ভাল। শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। রাতে ফাইবার হজম করতে অনেকেরই বেশ সমস্যা হয়। কাঁচা স্যালাড তো একেবারেই নয়
শীতের রাতে মটন নয় একেবারেই। কারণ মটনের মধ্যে প্রোটিন অনেক বেশি থাকে। আর যে কারণে মটন হজম হতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। তাই পোলাও, মটন, বিরিয়ানি এসব শীতের রাতে একেবারেই চলবে না