হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবার বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব পালিত হবে ২৬ জানুয়ারি। এদিন থেকে শুরু হবে বসন্ত ঋতু। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দেবী সরস্বতী বসন্ত পঞ্চমীতে একটি বই, বীণা এবং হাতে মালা নিয়ে একটি সাদা পদ্মের উপর বসে আবির্ভূত হন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আবুজ মুহুর্ত থাকে বসন্ত পঞ্চমীতে। তাই এই দিনে কোনও শুভ কাজ করার জন্য শুভ সময় পালন করার দরকার নেই। সরস্বতী পুজোর দিন এমনই ৫টি বিশেষ শুভ কাজ রয়েছে, যা এই দিনে পঞ্জিকা অনুযায়ী শুভ সময় না দেখেই করতে পারেন।
বিবাহ: বিয়ের জন্য শুভ সময় দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বসন্ত পঞ্চমীতে সারাদিনের আবুজ মুহুর্তা থাকে, অর্থাৎ এই পুরো দিনটিকেই বিয়ের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনে বিবাহ সংক্রান্ত যে কোনও কাজ যেমন বাগদান, সম্পর্ককে দৃঢ় করা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে যে কোনও সময় বিয়ে করা যেতে পারে
মাথা কামানো না ন্যাড়া হওয়া: বিবাহ ছাড়াও বসন্ত পঞ্চমীর দিনে মুণ্ডন করা ও অন্নপ্রাশন ইত্যাদি শুভ কাজ করা শুভ ও ফলদায়ক। এ দিনে শিশুদের মুণ্ডনে হলুদ পোশাক পরা উচিত, এতে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও বসন্ত পঞ্চমী শিশুদের শিক্ষা শুরু করার শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে বাড়িতে যজ্ঞ করলে লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কালীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
গৃহপ্রবেশ: সনাতন ধর্মে ঘরে প্রবেশের আগে গৃহ শান্তির পুজো করা হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনটি ঘরের উষ্ণতার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অভিজিৎ মুহুর্ত গৃহপ্রবেশের জন্য সেরা, তবে এই দিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গৃহপ্রবেশ করা যেতে পারে।
বাড়ি নির্মাণ: বিল্ডিং নির্মাণ কাজ হোক বা ভূমি পুজো, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে আপনি এই সমস্ত কাজ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার যদি আপনার বাড়ির সংস্কার বা একটি নতুন বাড়ি কিনতে হয়, তবে আপনি এই শুভ উপলক্ষে এই কাজটি করতে পারেন। এই দিনে কেনা একটি নতুন বাড়ি অনেক উন্নতি করে।
বসন্ত পঞ্চমীর দিন ভূমিপূজন, বিয়ের কেনাকাটা, ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বিনিয়োগ, নতুন চাকরি ও ব্যবসা শুরু করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ঘরে সমৃদ্ধি আসে এবং প্রতিটি কাজ সফল হয়।