
এই সমস্যাটি যতটা সহজ মনে হয় ততটা নয়। কখনও কখনও এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

নাক ডাকা মানে আপনি নাকের ভিতর কোনও ব্যাধিতে ভুগছেন। আসলে মাথা, মুখ, দাঁত, কান ও চোখ সব অঙ্গই নাকের সঙ্গে যুক্ত। এর মানে হল যে নাক ডাকা শুধু নাকের সমস্যা নয়, এটি এই অঙ্গগুলির একটি সমস্যার লক্ষণও।

লাইফস্টাইল পরিবর্তন, যেমন ওজন কমানো, অ্যালকোহল পান না করা বা শোওয়ার সময় আপনার পাশ ফিরে ঘুমানো এগুলির মাধ্যমে সাময়িকভাবে নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে। আয়ুর্বেদে নাক ডাকা বা নাক সংক্রান্ত সমস্যার অনেক প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সমস্যা দূর করতে পারেন।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা: আয়ুর্বেদবিদদের মতে, নাস্য হল সমস্ত সুপ্রাক্ল্যাভিকুলার (কাঁধের উপরে) ব্যাধিগুলির জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, "নাসা হি শিরসো দ্বারম" যার অর্থ নাক হল মস্তিষ্কের প্রবেশদ্বার। এটি মাথা, মুখ, দাঁত, কান, নাক, চোখ ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্ত ব্যাধিতে সহায়তা করে।

গরুর দুধ দিয়ে তৈরি ঘি: চিকিত্সকদের মতে, রোজ সকালে বা রাতে প্রতিটি নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা গরুর দুধ দিয়ে তৈরি ঘি লাগালে ভাল ঘুমাতে সাহায্য করে, মাথাব্যথা উপশম করে , সঙ্গে টেনশন, মাইগ্রেন ইত্যাদির সমস্যাও হবে দূর। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, অ্যালার্জি কমায়, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

কখন কত দিন নাকে ফোঁটা ঘি দিবেন: চিকিত্সকদের মতে, ঘুমানোর আগে নাকে ২ ফোঁটা গরুর ঘি দিন। ২১ দিন থেকে ৩ মাস পর্যন্ত এটি করতে হবে। ভাল ঘুমাতে, মনকে শান্ত করতে, মাথাব্যথা দূর করতে ও নাক ডাকতে সাহায্য করবে।

ভেষজ তেল: আয়ুর্বেদবিদদের মতে, গরুর ঘি ব্যবহার করতে না চাইলে অনু বা ভেষজ তেল ব্যবহার করতে পারেন। এমন একটি আয়ুর্বেদিক তেল যা আপনি নাস্য থেরাপির জন্য ব্যবহার করতে পারেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।

অটো-ইমিউন ডিসঅর্ডার নাস্য থেরাপি: নাস্য অটো-ইমিউন ডিসঅর্ডারেও অনেক সাহায্য করে। নাস্য থেরাপি অটোইমিউন থাইরয়েড, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো রোগগুলি এড়াতেও সাহায্য করতে পারে।