স্কিনকেয়ার রুটিনের প্রথম ধাপ হল পরিষ্কার করা। মুখ পরিস্কার করার অর্থ হল. ত্বকের উপর জমে থাকা তেল, সিবাম ও ধুলো-ময়লা নির্মূল করা। ত্বকের ছিদ্রে আটকে থাকা ময়লা ত্বককে আরও নিস্তেজ করে তোলে। প্রতিদিন রাতে ফেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আঙুলের ডগা দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মুখে মাসাজ করতে পারেন।
এক্সফোলিয়েটিংয়ের মাধ্যমে ত্বকের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে গ্লো করতে সাহায্য করে। সমবেদনশীল ত্বকের জন্য সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করা উচিত। যাঁদের মিশ্র ধরনের ত্বক রয়েছে, তাদের প্রতি সপ্তাহে ২-৩বার এক্সফোলিয়েট করা উচিত। মুখের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার সেরা টিপস হল, হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করা।
শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শরীরের ভেতর থেকে পরিস্কার করে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সর্বদা হাইড্রেট থাকা দরকার। এর পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার করার পর ত্বকে টোনার ব্যবহার করুন। এটিও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে।
শিটমাস্ক আজকার সৌন্দর্য বজায়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তবে শিটমাস্ক ব্যবহারের আগে সিটিএম রুটিন সম্পূর্ণ করতে ভুলবেন না যেন। লেবুর রস, তাজা টমেটো, শসা ইত্যাদির মত প্রাকৃতিক নির্যাস দিয়ে শিট মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
নাইট টাইম স্কিন কেয়ারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল চোখের যত্ন নেওয়া। কারণ একবার ডার্ক সার্কেল দেখা দিলে তা দূর করা যেমন কষ্টকর, তেমনই এটি আপনার লুক খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আই ক্রিম ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে হালকা করে মাসাজও করতে পারেন।
নিয়মিতভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র ত্বক শুষ্ক রয়েছে, তখনই নয়। হাউড্রেশনের অভাবে গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলে। বলিরেখা হঠাতে সাহায্যে করে। রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার হিসাবে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে আপনি স্লিপিং মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।