Bhoot Choturdoshi: শাক খেয়ে ভূত তাড়াতে না পারলেও রোগ তাড়াতে পারবেন ১০০%
Choddo Shaak: ভূত চর্তুদশীতে চৌদ্দ রকম শাক খেলে ভূত তাড়ানো যায় কি না তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু এই চৌদ্দ রকম শাক পাতে পড়লে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
ভূত চর্তুদশীতে চৌদ্দ রকম শাক খাওয়ার চল রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। পালংশাক, মুলো শাক, লাল শাক, মেথি শাক, সজনে শাক, পুঁই শাক, সর্ষে শাক, গিমে শাক, বেতো শাক, পাট শাক, পঙ্খা, থানকুনি, কুমড়ো শাক, কলমি শাক খাওয়া হয়। উৎসবের মরশুম তার সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তন—এই সময় কতটা উপকারী এই ধরনের শাক? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
ভূত চর্তুদশীতে চৌদ্দ রকম শাক খেলে ভূত তাড়ানো যায় কি না তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু এই চৌদ্দ রকম শাক পাতে পড়লে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন শাকের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা শরীরকে নানাভাবে উপকৃত করে।
সর্ষে শাক, পালং শাক ইত্যাদিতে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং আয়রন রয়েছে। এই শাক খেলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কলমি ও পুঁই শাকের মধ্যে প্রয়োজনীয় মিনারেল যেমন ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। এই ধরনের শাক খেলে পেট পরিষ্কার হয়। হার্টের রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী চৌদ্দ শাক।
লাল ও গিমা শাক শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরনের শাকে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ইত্যাদি রয়েছে। সর্দি-কাশিতেও এই শাক দারুণ সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? পাট ও মুলো শাক খেতে পারেন। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে এই ধরনের শাক। বেতো ও হিঞ্চে শাক শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং রক্তকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।