Uttarakhand: ৮১ থেকে ১২১, উত্তরাখণ্ডে রেকর্ড হারে বাড়ছে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা!
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Oct 23, 2022 | 1:43 PM
Snow Leopard Population : বন্যপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সুখবর বলা যেতে পারে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, উত্তরাখণ্ডের উচ্চ হিমালয় এলাকায় উত্তরাখণ্ড বন বিভাগ ও ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে স্নো লেপার্ড গণনা করা হয়েছিল।
1 / 7
বন্যপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সুখবর বলা যেতে পারে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, উত্তরাখণ্ডের উচ্চ হিমালয় এলাকায় উত্তরাখণ্ড বন বিভাগ ও ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে স্নো লেপার্ড গণনা করা হয়েছিল।
2 / 7
সেই গণনায় ভারত সরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত স্নো লেপার্ড পপুলেশন অ্যাসিস্ট্যান্স ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অধীনে এই গণনা করা হয়েছিল। গণনার জন্য গোবিন্দ জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কেদারনাথ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যান, মুন্সিয়ারি ও পিথোরাগড়ের পাশাপাশি হিমালয়ে অবস্থিত ট্রান্স হিমালয়ান এলাকায় ক্যামেরার ফাঁদ পেতে তুষার লেপার্ডের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। দীর্ঘ বিশ্লেষণের মোট পরিসংখ্যান হাতে পাওয়া গিয়েছে।
3 / 7
তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ডে স্নো-লেপার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২১। এর আগে ২০১৬ সালে আদমসুমারিতে সংখ্যা ছিল ৮৬টি। তারপর সমগ্র ভারতে ৫১৬টি স্নো লেপার্ড রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তুষার চিতাবাঘের দেখা পাওয়া এতটাই বিরল যে স্থানীয় ও বনবিভাগের কর্মীরা তাকে হিমালয়ের ভূত নামে অভিহিত করে। প্রসঙ্গত সারা বিশ্বে মাত্র ১২ টি দেশে এই বিরল প্রজাতির লেপার্ড দেখা যায়। সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। তিন হাজার থেকে সাত হাজারের মধ্যেই স্নো লেপার্ডের সংখ্যা।
4 / 7
উত্তরাখণ্ডে রেকর্ড হারে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা বাড়ায় বেজায় খুশি উত্তরাখণ্ডের চিফ ওয়াইল্ডলাইউ ওয়ার্ডেন সমীর সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের উচ্চ হিমালয়ের সংরক্ষিত এলাকায় স্নো লেপার্ডের ঘনত্ব আগের তুলনায় বেড়েছে।
5 / 7
তাঁর মতে, স্নো লেপার্ডের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা উত্তরাখণ্ডে স্নো লেপার্ড সংরক্ষণে জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তার সফল প্রতিক্রিয়া এটি। বনমন্ত্রী সুবোধ ইউনিয়ালও লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আনন্জ প্রকাশ করেছেন। এর জন্য তিনি ডব্লিউডব্লিউএফ, বন বিভাগ, এনজিও-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হিমালয়ের উচ্চ এলাকায় পুরু মোটা বরফাবৃত এলাকায় বিড়ালের মত দেখতে এক প্রজাতির চিতাবাঘ দেখা যায়। বিড়ালের পরিবারের একমাত্র প্রজাতি , যেটি গর্জন করতে পারে না, কিন্তু গোঙ্গানির মত গর্জন করতে পারে।
6 / 7
ত্বকে ধূসর ও সাদা লোম থাকে এদের। তার উপর কালো দাগ রয়েছে লেপার্ডের মত। এদের লোম অনেক ঘন, পুরু ও লম্বা। তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়া ও বরফাবৃত জায়গায় থাকতে এরা সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে। এদের পা বেশ লম্বা। পায়েও রয়েছে ঘন ও পুরু লোম, যার ফলে পুরু বরফের উপর দিয়ে অনায়াসে চলাচল করতে পারে।
7 / 7
এরা রাতেও সক্রিয় থাকে। নির্জন জায়গায় থাকতে বেশি পছন্দ করে এরা। তুষারবৃত এলাকায় থেকেই শিকার ও প্রজনন করে তারা। তবে স্নো লেপার্ড আইইউসিএন রেড লিস্টে রাখা হয়েছে। অত্যন্ত বিরল প্রজাতির এই লেপার্ড সংরক্ষণের জন্য ভারতে চলছে নানা গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতার প্রচার ও প্রচেষ্টা।