কেউ সন্তান কোলে বসে থেকেছেন দিনের পর দিন। কেউ আবার কোলের সন্তানকে বাড়িতে রেখে বসে থেকেছেন রোদ-ঝড় মাথায় নিয়ে। তিন বছরের অপেক্ষা শেষে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন যোগ্য প্রার্থীরা। (প্রিয়াঙ্কা হাতি)
বুধবার ডিরোজিও ভবন থেকে নিয়োগপত্র নিয়ে বেরনোর পর সুকিরণ মণ্ডল বলেন, চাকরি পেয়েছি এতদিন পরে তাতেই খুশি। আন্দোলনের জোরেই চাকরি হল, সে কথা মেনে নিচ্ছেন তিনি। (সুকিরণ মণ্ডল)
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার নিয়োগপত্র নিতে গিয়েছিলেন দীপিকা মাল। ছোট মেয়েকে কোলে নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিতেন তিনি।
'অযোগ্য' প্রার্থীদের তালিকা সামনে আসার পর ১০২ পদে অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৫১ জনকে বুধবার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
চাকরি প্রার্থীরা বলছেন, 'এতদিন চাকরি হয়নি ঠিকই, তবে আজ মাথা উঁচু করে ঢুকব, তার সম্মানটাই আলাদা।' তবে তিনটে বছর নষ্ট হওয়ার আক্ষেপ ভুলছেন না তাঁরা।
আনন্দ অবশ্য পূর্ণতা পাচ্ছে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না বাকি আন্দোলনকারী বা যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি না পাচ্ছেন। নিয়োগ দুর্নীতির জটে এখনও আটকে আছে অনেকের চাকরি। অবিলম্বে বাকিদেরও চাকরি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।