Photo Gallery: অক্সিজেনের আকাল, বেড সঙ্কট, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন- সব ভুলে গেলেন ৬ মাসেই!
TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী
Oct 13, 2021 | 7:00 PM
Durga Puja 2021: বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এরপর তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, তাহলে সেটা আমরাই ডেকে আনব। কয়েক মাস আগে যখন পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছিল তখনও এভাবেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল কলকাতার জনস্রোত।
1 / 7
রাতে ঘুম ভেঙেছে রাস্তা দিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের আওয়াজে। সংবাদমাধ্যম জুড়ে সারি সারি মৃতদেহের ছবি। প্রাণবায়ুর অভাবে হাসপাতালের বেডে পড়ে থেকেছে নীল হয়ে যাওয়া দেহ। শুধু সংবাদমাধ্যমে কেন, কখনও কোনও আত্মীয় ফোন করে জানতে চাইছেন অক্সিজেন কোথায় পাবো? কোনও বন্ধু ফেসবুক স্টেটাসে লিখছে কোনও বেড ফাঁকা আছে? কোন তথ্যচিত্র নয়, এ আপনার-আমার অভিজ্ঞতার গল্প। তাও আবার খুব বেশি দিন আগে নয়। মহামারির নিয়মে তার পোশাকি নাম ছিল সেকেন্ড ওয়েভ।
2 / 7
কোনও এক পূণ্যবলে বলে যাঁরা সেই মৃত্যুপুরী থেকে ফিরে এলেন, তাঁরা কি সব ভুলে গেলেন? উৎসবের মাঝে কি একবারও মনে পড়ল না হারিয়ে যাওয়া বন্ধু, আত্মীয় বা প্রিয়জনের মুখ? শহরের ভিড়ের ছবি অন্তত সে কথাই বলছে।
3 / 7
করোনা অতিমারির মধ্যে হওয়া দ্বিতীয়বারের দুর্গোৎসব এবার। গতবছরও কোভিডের মধ্যেই পুজো হয়েছিল। তবে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আকার অনেক ভয়ঙ্কর ছিল তা সবারই জানা। কখন আইসিএমআর, কখনও এইমসের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এরপর তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, তাহলে সেটা আমরাই ডেকে আনব। কয়েক মাস আগে যখন পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছিল তখনও এভাবেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কেরলের ওনম উৎসবের পর কি পরিস্থিতি হয়েছিল, সেটাও অজানা নয়। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল কলকাতার জনস্রোত।
4 / 7
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে আনন্দ তো করতেই হবে। সারাবছরের যন্ত্রণা ভোলাতেই তো আসেন মা দূর্গা। তবে যন্ত্রণা কি এত দ্রুত ভুলে যাওয়া যায়? কিন্তু পুজোর মার্কেটিং, মহালয়ার তর্পণ, ঠাকুর দেখার হিড়িকের যে ছবি দেখা গেল, তাতে কার্যত হতাশ চিকিৎসকেরা। কেউ বলছেন মাস্ক পরলে সেলফি ভালো উঠবে না, আর সোশ্যাল ডিসট্যান্স? সংজ্ঞাটা বোধহয় জানা নেই অনেকেরই। এরপর করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে আবার অক্সিজেনের অভাবের জন্য সরকারের দিকে আঙুল তুলবেন ঠিকই, কিন্তু যাঁরা ভয় ভুলে রাস্তায় নামলেন, তাঁরা কি তখন একবারও নিজেদের প্রশ্ন করবেন? প্রতিবেশীর সন্তান অসুস্থ হলে তার দায় কি একটুও নেবেন আপনি?
5 / 7
এখন নাকি অনলাইনের যুগ। এক ক্লিকেই খুলে যায় পোশাকের বিপুল সম্ভার। আঙুল ছুঁয়ে যে কোনও একটা পছন্দ করলেই হল। তার মধ্যে রয়েছে ডিসকাউন্ট ক্যাশব্যাকের প্রলোভন। কিন্তু সে সবের কোনও প্রভাবই দেখা গেল না গড়িয়াহাট কিংবা নিউমার্কেটে। নেড়েচেড়ে দেখেশুনে তবেই কেনাকাটা করলেন মানুষজন।
6 / 7
এরপর মহালয়া দিয়ে পুজো শুরু। ভিড়েরও শুরু সেদিন থেকেই। তর্পণ করতে ঘাটে ঘাটে দেখা গেল লম্বা লাইন। তর্পণ করার সময় মাস্ক পরার ছবিও খুব বেশি চোখে পড়ল না। মাস্ক পরার বিধান নেই নাকি? (চলছে তর্পণ))
7 / 7
পরে ভিড় বেড়ে যাবে তাই, মহালয়ার পরের দিন থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন মানুষজন। মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব মেনে মণ্ডপে প্রবেশ যেন কল্পকথা। কোলে শিশুদের নিয়ে ভিড় ঠেলে এগিয়ে গেল জনতা। কারও যুক্তি মাস্ক পরে হাঁটা যাচ্ছে না, কষ্ট হচ্ছে। সংক্রমিত হওয়ার ফুসফুসের শ্বাসকষ্টের থেকেও কি বেশি? কোভিড যখন ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলবে, তখন এ সব যুক্তি খাটবে তো? সেলফির হাসিটা অবশ্য একেবারে পারফেক্ট হওয়া জরুরি। শুধু একটাই কথা সবাই ভুলে যাচ্ছেন, বিশ্বজোড়া অতিমারির লড়াইয়ে শেষ হাসিটা আপনিই হাসবেন তো?