
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাকের ঘটনা তুলনায় কম। যদিও মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে বাড়ে হৃদরোগের প্রবণতা। এছাড়াও ডায়াবিটিস বা উচ্চরক্তচাপের জন্য আজকাল মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা।

নিয়মিত ধূমপানের ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি কাশি, কফ কিংবা শ্বাসকষ্টের মত একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তবে অনেকেই তা এড়িয়ে যান। ধূমপান হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

সব মেয়েদেরই নিয়মিত প্রচুর বাড়ির কাজ করতে হয়। এছাড়াও থাকে অফিসের চাপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি আর অফিস এতসঙ্গে সামলাতে গিয়ে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময়টুকু পান না। নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা সকলকেই করতে হবে, এখান থেকেও আসে হৃদরোগের সম্ভাবনা।

হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু খুবই জরুরি। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলার ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু সেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য তাঁদের মধ্যে বিশেষ সচেতনতা সব সময় দেখা যায় না। নিয়মিত জিম, ডায়েটের মধ্যে দিয়েও অনেকে যান না। আর এই স্থূলতা কিন্তু হার্টের সমস্যার নেপথ্যে থাকে।

মেয়েদের পরিশ্রম ছেলেদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়। কিন্তু মেয়েরা কম ঘুমোন। প্রতিদিন আমাদের সকলেরই অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু মেয়েদের ঘুম এমনিই কম। কাজের চাপের জন্য অনেকেই ৫-৬ ঘণ্টার বেশি ঘুমনোর সময় পান না। এতে কিন্তু শরীর ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে মেয়েদের মধ্যে চূড়ান্ত উদাসীনতা দেখা যায়। তাঁরা সবার জন্য করেন কিন্তু নিজের খেয়াল ঠিকমতো রাখেন না। সমস্যা একেবারে চরম পর্যায়ে গেলে তখন পরীক্ষা করান। হয়তো ভেতরে ভেতরে রক্ত শর্করা বেড়ে থাকে অনেকখানি। এছাড়ও বুকে ব্যথা বা বমির মত সমস্যাও অনেক সময় এড়িয়ে যান।