আজকাল সুগারের সমস্যা ঘরে ঘরে। আগে একটা বয়সের পর সুগার বাড়ত। এখন ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবেটিসে। আর এর জন্য প্রধান কারণ আমাদের জীবনযাত্রা।
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, শর্করা বেশি খাওয়া, বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া এবং সেই সঙ্গে কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এর প্রধান কারণ। যার ফলে চড়চড়িয়ে সুগার বাড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে সুগার আসে পরিবার সূত্রে।
অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। আর এই হরমোন যদি কম পরিমাণে তৈরি হয় বা একেবারেই তৈরি না হয় তখনই রক্তে বাড়তে থাকে রক্ত শর্করার পরিমাণ। সুগার বাড়লে বার বার তেষ্টা পায়, প্রস্রাবে বেশি বার যেতে হয়, পায়ে চুলকোয়, সঙ্গে চোখ জ্বালা, ক্লান্তি এসব তো থাকেই।
সুগার বাড়লে প্রভাব পড়ে কিডনির উপরেও। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলেই শরীরে জমতে থাকবে দূষিত পদার্থের পরিমাণ। পা ফুলে যাওয়া, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, ক্লান্তি, বমি ভাব এসব থাকে।
সুগার দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে স্নায়ুতে আলাদা সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে হতে পারে ডায়াবিটিস নিউরোপ্যাথি। এই অসুখের ক্ষেত্রে অবশ হয়ে যায় শরীরের কিছু অংশ। সেই জায়গাটায় ব্যথার অনুভূতি থাকে না। এমনকী গরম বা ঠান্ডার অনুভূতিও চলে যায়। এছাড়াও সেই জায়গায় ব্যথা থাকে।
ডায়াবেটিসে দেখা দিতে পারে হার্টের সমস্যাও। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। সেই সঙ্গে রক্তনালীতে প্রদাহজনিত সমস্যা আসে। এছাড়াও বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা আর শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গও থাকে।
প্রায়শই যদি চোখে ঝাপসা দেখেন, চোখ চুলকোয় বা চোখে কোনও সমস্য়া হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই একবার সুগার পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।