রান্নাঘরে অতিসাধারণ মশলা দারুচিনি। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেই সাধারণ নয় দারুচিনি। এই মশলার মিষ্টি স্বাদ ও গন্ধ খাবারে স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। আর এর গুণ রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
এক চিমটে দারুচিনির মধ্যে এমন গুণ রয়েছে যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের কাছে দারুচিনি মহাষৌধ।
দেহে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে তার সঙ্গে ধীরে ধীরে শরীরে প্রদাহ বাড়তে থাকে। কিডনি, পা, চোখ, হার্টের উপর নানাভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে ডায়াবেটিস। এক্ষেত্রে শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে ডায়েটে দারুচিনি রাখতেই হবে।
দারুচিনির মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে। এটি শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে, ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলোকে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। অন্যদিকে, ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলা।
ডায়াবেটিসের হাত ধরে ওবেসিটি আসে। এই ওবেসিটি অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। দারুচিনি ঠিক এই কাজটাই করে। দারুচিনি বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজনকে বশে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস থাকলে কোনওভাবেই চিনিযুক্ত খাবার চলে না। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা মিষ্টির প্রতি ভালবাসা ছাড়তে পারেন না। তাঁদের জন্য আদর্শ দারুচিনি। এই মশলা মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে সাহায্য করে।
কিন্তু কোন উপায়ে দারুচিনি খেলে উপকার পাবেন, তা কি জানেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম দুধে এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে ঘুমনোর আগে এই পানীয় পান করুন।
এছাড়া আপনি দারুচিনির ডিটক্স জল পান করতে পারেন। এক গ্লাস জলে এক ইঞ্চি দারুচিনি সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। এতে ওজন কমবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।