অসমের বন্যা (Assam Flood: ) পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে যাচ্ছে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা রাজ্যে। অসমের ডিমা হাসাও, কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দির লক্ষাধিক মানুষ বন্যার জেরে চরম সঙ্কটে পড়েছেন। বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা।
ডিমা হাসাওতে ক্ষতিগ্রস্ত রেল সেতু পার হতে যাত্রীদের সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে আরপিএফ-কে। এই জেলায় ভূমিধসের জেরে পুরোপুরি ভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। বাতিল করা হয়েছে কমপক্ষে ১৮টি ট্রেন।
অন্যদিকে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে মাঠে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মাঠে নেমেছে সেনা। ডিমা হাসাওয়ের ডিটোকচেরা রেল স্টেশনে আটকে থাকা ১১৯ জন যাত্রীকেই ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে হোজাইতে। ভারী বর্ষনে ডুবেছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। ডুবেছে স্কুল। জল ভেঙেই নিত্য কাজ সারছেন এলাকার মানুষ। এদিকে এখানেও জারি রয়েছে লাল সতর্কতা।
অন্যদিকে একাধিক জেলায় বন্যার তোড়ে তলিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। গত সপ্তাহের শেষেই অসমের কাছাড় জেলায় চারজন জলে তলিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গতকাল সোমবার নৌকায় পারাপারের সময়ে জলে ডুবে যায় একটি শিশুও। ইতিমধ্যেই বন্যায় মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে অসম সরকার।