
গরমকাল মানেই দেদার তরমুজ, আম খাওয়া। বাজারেও শুরু হয়েছে তরমুজের ব্যাপক বিক্রি। মিষ্টি ও রসালো এই ফলের স্বাদ শিশু থেকে বয়স্ক সকলেরই বেশ পছন্দের। তবে বিশেজ্ঞদের মতে, তরমুজের থেকেও বেশি উপকারী তরমুজের বীজ। স্বাস্থ্যের জন্য এই বীজের কোনও বিকল্প নেই।

অধিকাংশই তরমুজ খাওয়ার সময় কালো বা সাদা রঙের বীজ ফেলে দেওয়া হয়। আবার খেতে গিয়ে অনেকসময় বীজ গিলে পেটে চলে যায়। কিন্তু এই বীজেই লুকিয়ে রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। শরীরে নানা রোগ থেকে রক্ষা করে এই উপকারী বীজ। কীভাবে আপনাকে অনেক কঠিন রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে তাও জানা দরকার।

তরমুজের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই বীজ খেলে হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। ফাইবারের গুণে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয় চটপট। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তরমুজের কালো বা সাদা বীজ।

তরমুজের বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই খনিজগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

তরমুজের বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।

তরমুজের বীজে রয়েছে ভিটামিন ই ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান। ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে তরমুজের বীজের জুরি মেলা ভার। ভিটামিন ই ত্বকে লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চুলের নানা সমস্যাও দূরে রাখে। চুলকে মজবুত ও ঘন করতেও সাহায্য করে।

তরমুজের বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য। এই দুই সুপার গুণের জন্য শরীরের মধ্যে ক্যানসারের কোষ তৈরি করতে বাধা দেয়। সাধারণত কোলন ও প্রস্টেট ক্যানসার রোধের জন্য এই গরমকালে প্রতিদিন তরমুজ ও বীজ খেতে পারেন।

ভাবছেন তরমুজের বীজ কীভাবে খাবেন? এরও রয়েছে সহজ পদ্ধতি। তরমুজের বীজ ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো বীজ কাঁচাও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া তরমুজের বীজের স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে বা স্যালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।