TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত
Aug 23, 2021 | 9:03 PM
কলকাতা: সোমবার নবান্নে চলছিল আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকের তাল কাটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায়। সূত্রের খবর, ট্রাইবাল অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই জাতি শংসাপত্র সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য। (ছবি-PTI)
সূত্র জানাচ্ছে, সোমবার নবান্ন সভাঘর যখন এই বৈঠক চলছিল, তখনই বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা অভিযোগ করেন, অনেকেই অসৎ উপায়ে সরকারের ঘর থেকে জাতি শংসাপত্র যেনতেন প্রকারে বের করে নিচ্ছে। অথচ, যারা এই শংসাপত্র বের করে নিচ্ছে, তাঁদের ওই সার্টিফিকেট পাওয়ার কথাই নয়। (ফাইল ছবি)
শুধু অভিযোগ করেই মন্ত্রী তথা সাঁওতালি ছবির এই তারকা থেমে থাকেননি। নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে রীতিমতো প্রামাণ্য নথিপত্রও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত শাসক শিবিরের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন এবং সমাজকর্মী শিব শংকর সোরেনও এই অভিযোগকেই সমর্থন করেন বলে জানাচ্ছে সূত্র। আরও খবর, বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও শংসাপত্র জালিয়াতির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করেন বিরবাহা হাঁসদা। (ছবি-ফেসবুক)
খোদ নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীর মুখেই এহেন অভিযোগ শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নজর ঘোরে আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিবের দিকে। মমতা কিছু বলার আগেই অভিযোগ শুনেই আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিব সঞ্জয় থারে বলে ওঠেন, যাঁরা বেআইনি ভাবে শংসাপত্র জোগাড় করেছে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হবে। (ফাইল ছবি)
সচিবের কথা শুনে ততক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। বলে ওঠেন, "তদন্ত না করে তুমি কী ভাবে বলছো বাতিল করে দেবে?" তিনি বিভাগীয় সচিবকে নির্দেশ দেন, প্রথমেই সার্টিফিকেট বাতিল করলে চলবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আগে সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। তারপর প্রয়োজন পড়তে শংসাপত্র বাতিল করা যেতে পারে। (ফাইল ছবি)