TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে
Sep 26, 2021 | 4:12 PM
আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) ৮৯ তম জন্মদিন। দেশের ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৪ সালে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে। নামজাদা অর্থনীতিবিদ হিসবেও তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন প্রাক্তনের জন্মদিনে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। নিজের টুইটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে মনমোহনকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। কিন্তু আজ সেই সব বির্তকে না গিয়ে ফিরে দেখা যাক ড. সিংয়ের জীবনের পুরনো কিছু মুহূর্ত।ছবি টুইটার
অমৃতসরের হিন্দু কলেজ থেকে পড়াশুনা করে, পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন মনমোহন। সেখান থেকেই, অর্থনীতি নিয়ে ১৯৫২ সালে স্নাতক ও ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এর পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন মনমোহন সিং।ছবি টুইটার
ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রধান উপদেষ্টা, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টা, ভারতের যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যানের মত নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ছবি টুইটার
১৯৯১ সালে চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয় ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও (PV Narsimha Rao) আকস্মিকভাবে, রাজনীতিতে আনকোরা মনমোহনের কাঁধে দেশের অর্থ মন্ত্রকের গুরু দায়িত্ব তুলে দেন। অর্থ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর পরের কয়েকটি বছর বিরোধীদের চরম বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশ কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার ও উদারনীতির পথে হেঁটেছিলেন মনমোহন, যা পরবর্তীকালে সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হয়। ছবি টুইটার
২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (UPA) সংখ্যায় গরিষ্ঠতা পেলে, ইউপিএ অধ্যক্ষ সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ড. সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন। সেই ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল বামেরা। ২০০৮ সালে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি (Nuclear Deal) সই করা নিয়ে বামেদের সঙ্গে সরকারের বিরোধ চরমে ওঠে। বামেরা সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। সরকার পড়ে যাওয়ার মত অবস্থায় আস্থা ভোটে জিতে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যান মনমোহন সিং। ছবি টুইটার
২০০৯ সালে মনমোহন সিংকেই সামনে রেখে ভোটে লড়ে কংগ্রেস (Congress) তথা ইউপিএ জোট। আগের বারের তুলনায় আসন সংখ্যা বাড়িয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসে ইউপিএ। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন। ছবি টুইটার
টু জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে কয়লার খনির বরাত দেওয়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয় দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার। দেশ জুড়ে হইচই পড়ে যায়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তিরে বিদ্ধ হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। এ রাজা, সুরেশ কালমাদির মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর ক্রমেই সরকার থেকে রাশ আলগা হয়ে মনমোহনের। ২০১৪ সালে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কাছে পরাজিত হয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী ছবি টুইটার