ডায়াবেটিস, সুগারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোলেস্টেরলের সমস্যাও। ঘরে গরে খোঁজ করলেই দেখা যাবে পরিবারের কোনও এক সদস্যের কোলেস্টেরল হাই। রোজকার জীবনযাত্রার জন্যই কিন্তু বাড়ছে এই সমস্যা। কোলেস্টেরল বাড়লেও তা নিয়ে সচেতন নন অনেকেই।
মানুষের শরীরে দু রকম কোলেস্টেরল থাকে। একরকম যা শরীরের জন্য ভাল, অন্যটি হল LDL কোলেস্টেরল যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০০ পেরিয়ে গেলেই বুঝতে হবে বিপদ সামনে। কোলেস্টেরল বাড়তে থাকলেই তা সরাসরি গিয়ে জমা হয় রক্তনালীতে। যেখান থেকে বেড়ে যায় হৃদরোগের আশঙ্কা।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে সেই খাবারই। মূলত ফাস্টফুড। যে কোনও ফাস্টফুডের মধ্যেই থাকে প্রচুর পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যে খান থেকে সমস্যা হয় অনেক বেশি। চিপস, বার্গার, প্যাটিস, পিৎজা, চাউমিন, বিরিয়ানি, তেলেভাজা একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে।
চিকেনের থেকে মাটনপ্রেমীরা দলে ভারী। কিন্তু মাটন আমাদের শরীরের জন্য একদম ভাল নয়। মাটনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ চর্বি। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ভীষণভাবে। এছাড়াও বড় মাছ এড়িয়ে চলুন। চিতল, বোয়াল, বড় কাতলা, ইলিশ খেতে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু এই সব মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট।
ঘি, মাখন, নারকেল যতটা সম্ভব কম খান। নারকেলের দুধেও কিন্তু ভালো মাত্রায় ফ্যাট থাকে। রোজ ঘি, মাখন একসঙ্গে খাবেন না। খেলেও তা যে পরিমাণের মধ্যে থাকে। ঘি খেলেও কোলেস্টেরল বাড়ে। তাই ঘিয়ে ভাজা যে কোনও খাবারই বাদ।
তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর দেওয়া নির্দেশ মতো ওষুদ খান। সঙ্গে ডায়েট আর শরীরচর্চা কিন্তু চালিয়ে যেতেই হবে। দিনে অন্তত ৪০-৪৫ মিনিট এক্সসারসাইজ করুন। প্রয়োজন মনে হলে অবশ্যই জিমে যান। সাঁতার কাটুন। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।