শুভ জন্মদিন ইমরান খান। শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল আমির খানের ভাইপোর। 'যো জিতা ওহি সিকন্দর', এবং 'ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক' ছবিতে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট ইমরানকে।
এরপর বলিউডে ইমরান ডেবিউ করেন 'জানে তু ইয়া জানে না' ছবির হাত ধরে। জেনেলিয়া ডিসুজার সঙ্গে প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। ডেবিউ ফিল্মে নাসিরুদ্দিন শাহ, রত্না পাঠকের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন ইমরান। তাবড় অভিনেতাদের মধ্যেও তাঁর অভিনয় ছিল চোখে পড়ার মতো।
ইমরান খানের আসল নাম ইমরান পাল। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে মায়ের পদবীই ব্যবহার করেন ইমরান।
আমির খান ছাড়াও পরিচালক-প্রযোজক মনসুর খানেরও ভাইপো ইমরান। পাশাপাশি পরিচালক-প্রযোজক নাসির হুসেনের নাতি তিনি। পারিবারিক সূত্রেই অভিনয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন তিনি। পর্দায় তার ছাপও রয়েছে স্পষ্ট ভাবে।
আদতে ইমরান একজন মার্কিন নাগরিক। ওয়ার্ক পারমিটের দৌলতে ভারতে থাকেন। নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতেই ডিরেকশন, সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপন এবং মার্কেট রিসার্চ নিয়েও অগাধ জ্ঞান রয়েছে ইমরান খানের।
'মটরু কি বিজলি কা মনডোলা' ছবির জন্য দিল্লিতে থেকে নিজেকে তৈরি করেছিলেন ইমরান। তিনমাস ছিলেন রাজধানী শহরে। একটি থিয়েটার দলের সঙ্গে অভিনয় করে শিখেছিলেন হরিয়ানভি বলা। এই ছবির জন্য গানও গেয়েছিলেন ইমরান খান।
২০১৩ সালে চার একর একটি জমি কেনেন ইমরান খান। সেই জমিতে তৈরি করেন একটি অ্যানিম্যাল শেল্টার। উদ্ধার করা পশুপাখিদের চিকিৎসার জন্য সেখানে সর্বদা হাজির থাকে ভেটেরেনারি চিকিৎসকরা। পশুপাখিদের সেবা-শুশ্রুষার জন্য রয়েছেন কর্মীরাও। এই কাজে ইমরানের স্ত্রী অবন্তিকা মালিকও ছিলেন তাঁর সঙ্গী।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে রান্নাবান্নার ব্যাপারেও বেশ শৌখিন মিস্টার পারফেকশনিস্টের ভাইপো। ভাত আর ডাল-তরকা ইমরানের খানের প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। স্বাদ বদল করতে মাঝে মাঝে নিজেই রান্নাবান্না করেন ইমরান।