মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হাইড্রেটিং বেশিষ্ট্য। একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি তরলের চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয় এই মধুর উপকারিতা সকলেকরই অল্প-বিস্তর জানা।
অ্যাম্বার মৌমাছির রস শুধুমাত্র ক্ষুধার মাত্রা কমিয়ে রাখে তাই নয়, বরং সারা রাত শান্তিতে ঘুমাতেও সাহায্য করে।
কাঁচা ও অপরিশোধিত মধু ত্বককে হাইড্রেট করতে, ক্ষত সারাতে ও গলা ব্যথার উপশম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও মধুর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
মধু একটি ঘুমের সঠিক মেডিসিন বলা যেতে পারে। ঘুমানোর আগে অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক চা চামচ কাঁচা মধু খেয়ে নিলে মাঝরাতে আর ঘুম ভাঙবে না। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মধ্যরাতে পেটে ব্যথা নিয়ে অনেকেই জেগে ওঠেন, কারণ শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কর্টিসল নিঃসরণে মস্তিষ্কে বার্তা পৌঁছায়।
মধু ঘুমের মানও বাড়ায়। গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রাতের ঘুম অত্যন্ত ভাল হয় ও সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন।
মধু ডায়েটের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপকরণ। ওজন কমানোর জন্য অন্য়তম সফল একটি পদ্ধতি। মধুর মত ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ খাবার খেলে দশগুণ বেশি ফ্যাটবার্ন করে। স্ট্যামিনার মাত্রাও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়।
মধু যকৃতের সুস্থতার জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আরও গ্লুকোজ উত্পাদন করতে সাহায্য করে। মধুর ডায়েট অনুসরণ করতে, চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু গরম জলে মিশিয়ে পান করুন।
ফিট থাকতে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে মধুর কোনও বিকল্প নেই। ভেষজ বা আয়ুর্বেদ মতে, মধু ক্ষত নিরাময় করতে, গলা ব্যথা উপশমে, জীবাণুমুক্ত করতে, দাঁতের গঠন না হলে. অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।