
দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে ল্যাক্টিক অ্যাসিড রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান গুলি শরীরে এক দারুণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, বিশেষত গ্রিক দইয়ের মধ্যে তা বর্তমান। এই প্রোটিন শরীরের খিদের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজনকে বেশি বৃদ্ধি হতে দেয় না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দইয়ের ব্যবহার অপরিহার্য।

দইয়ের মধ্যে কিছু প্রকারের প্রোবায়োটিক্স রয়েছে যা পেটের যেকোনও সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা বা ডায়রিয়া, বোমা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে দই।

এত প্রকারের ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোবায়োটিকস শরীরের যে কোনও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সহায়ক। তাই শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দইকে রাখুন।

দইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয়কে রোধ করে, অন্যদিকে দাঁতকেও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দই খেলে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।

রক্তচাপ কমানো থেকে শুরু করে ব্যাড কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এইচডিএল অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যার ফলে হৃদ জনিত যে কোনও সমস্যা হ্রাস পায়।

দইয়ের মধ্যে বিশেষ উপাদান ল্যাক্টিস অ্যাসিড রয়েছে যা মহিলাদের শরীরে এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যৌনাঙ্গের যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে দই।