লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতেই মাথায় হাত? খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে আনতে এই ৫ খাবার খান
Bad Cholesterol: শীতকালে লাগামহীন খাওয়া-দাওয়া চলে। তার সঙ্গে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। তাই বাড়তি কোলেস্টেরল কমানোর সম্ভাবনা কমে যায়। তাছাড়া শীতে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, যা লিপিড মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে। এই অবস্থায় কোলেস্টেরল কমাবেন কীভাবে?
শীতকাল এলেই চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতে বরিবারের দুপুরের পাতে মাটন থাকে। আর রাতে মদের আসর প্রায়শই বসে। এতে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। যা মোটেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়।
শীতকালে লাগামহীন খাওয়া-দাওয়া চলে। তার সঙ্গে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। তাই বাড়তি কোলেস্টেরল কমানোর সম্ভাবনা কমে যায়। তাছাড়া শীতে দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, যা লিপিড মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে।
শীতকালে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ডায়েটের উপর জোর দেওয়া জরুরি। শীতকালে এই ৫ খাবার খেলে আপনি উপকার পেতে পারেন।
ব্রেকফাস্টে ওটমিল রাখতে পারেন। এতে থাকা ফাইবার খারাপ বা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। কোলেস্টেরল কমানোর ডায়েটে যত বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন, তত বেশি উপকার পাবেন।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া বন্ধ করবেন না। শুকনো ফলের মধ্যে মাল্টিভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আমন্ড, ডুমুর, আখরোটের মতো ফল খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু খুব বেশি খাবেন না।
অ্যাভোকাডোর মধ্যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফল এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
শীতকাল মানেই পুঁই, পালং, মুলো, লাল ইত্যাদি ধরনের শাক পাওয়া যায়। তার সঙ্গে বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, বিট, গাজর, শিম সবই পাওয়া যায়। এই ধরনের শাকসবজি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল থাকলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে যাবেন। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।