Heart Attack: প্রিয়জনের হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন? কত মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত জানেন?
Heart Attack: চিকিৎসকেরা বলেন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সর্বাধিক ৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত বা প্রাথমিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ৩০ মিনিট সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
1 / 8
ভারত তথা গোটা বিশ্বেই যতগুলি রোগের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তাঁর মধ্যে অন্যতম হল হার্ট জনিত সমস্যা। হার্ট অ্যাটাক, হার্টে ব্লকেজ সহ নানা কারণে এই সব সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলেন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সর্বাধিক ৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত বা প্রাথমিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ৩০ মিনিট সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
2 / 8
অথচ পরিসংখ্যান বলছে ঠিক উলটো কথা। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত অর্ধেক রোগীকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে সময় লেগে যায় প্রায় ৪০০ মিনিট বা সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি। অথচ মেডিক্যাল গাইড লাইন বলছে হার্ট অ্যাটাকের ১৮ মিনিটের মধ্যে হস্তক্ষেপ করাটা অত্যন্ত জরুরি।
3 / 8
গত ৬ ডিসেম্বর এমন এক ঘটনা ঘটে কলকাতা থেকে দিল্লিগামী বিমানে। ৪৫ বছরের এক মহিলার শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়, রক্তচাপ অসম্ভব বেড়ে যায়। সৌভাগ্য ক্রমে সেই বিমানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার নাম করা বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাঃ স্মিতা মৈত্র। প্রাথমিক চিকিৎসা করেন তিনি।
4 / 8
এরপরেই রাঁচিতে বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাঃ মিত্রের তৎপরতায় মহিলা এই যাত্রায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু সেদিন ওই চিকিৎসক না থাকলে, বিমানে ঘটে যেত পারত মারাত্মক দুর্ঘটনা।
5 / 8
২৫ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে খানিকটা এমনই এক ঘটনা। বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন এক ব্যাক্তি। ভাগ্য ক্রমে সেই দিনও ওই বেসরকারি হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক গরিমা আগরওয়াল। বিমান বন্দরের চিকিৎসকদের আসতে দেরি হলে তিনিই সিপিআর দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। যার ফলে ওই ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পাওয় যায়।
6 / 8
তবে সব সময় যে চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন এমন নয়। সে সব পরিস্থিতির জন্য সাধারণ জনগণকে প্রস্তুত করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল সংস্থা। সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, কর্পোরেট অফিস বা প্রতিষ্ঠানে সিপিআর প্রশিক্ষণ সেশনের আয়োজন করেছে। 'হৃদয় জুড়ে কলকাতা' ইয়দ্যোগের মাধ্যমে ২০০০ বেশি স্বেচ্ছা সেবককে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
7 / 8
সিকিউরিটি গার্ড থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে আয়োজন করা হয়েছিল মিশন '৩কে - ৩০০০ হার্টস ওয়ান বিট' উদ্যোগ ৩,৩১৯ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে।
8 / 8
সিপিআর প্রশিক্ষিত প্রত্যেকে ব্যাক্তি উপরিক্ত পরিস্থিতিতে একজন মানুষকে জীবন দান করতে পারেন। অন্তত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া একটি ব্যাক্তিকে সিপিআর দিয়ে প্রাথমিক ভাবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকু দিতে পারেন। বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ সত্যি চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।