
হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয় কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত থেকে। তবে, খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লেই একমাত্র শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ভাল কোলেস্টেরল কমে গেলে কী করবেন?

সুস্থ থাকার জন্য এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হওয়া উচিত আর এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম। এলডিএল বাড়লে এইচডিএল কমে। তখন কী করবেন?

খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে ওষুধ তাকে কমানো যায়। কিন্তু এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ানোর জন্য আপনাকে ডায়েট ও লাইফস্টাইলের উপর জোর দিতে হবে।

ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবারযুক্ত খাবার খান। ওটস, বার্লি, ডালিয়া, কিনোয়া, ডালের মতো দানাশস্য, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, বিভিন্ন বাদাম, শাকসবজি, ফল ডায়েটে রাখুন।

বাইরের ভাজাভুজি খাবার, ফাস্ট ফুড খাওয়া চলবে না। যে সব খাবারে ফ্যাট বেশি সেগুলো কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।পাশাপাশি ওজন বাড়ায় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দেহে কোলেস্টেরলের সঠিক মাত্রা বজায় রাখার জন্য শরীরচর্চা জরুরি। কার্ডিয়ো, অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটুন।

কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত থেকে পিছু ছাড়াতে হলে ধূমপান ছাড়তে হবে। ধূমপান ছাড়লে দেখবেন এলডিএল ও এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা ব্যালেন্স হয়ে গিয়েছে।

নিয়মিত মদ্যপান দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। পুরুষদের ক্ষেত্রে দিনে দু’পেগ এবং মহিলাদের দিনে এক পেগের বেশি মদ্যপান করা উচিত নয়। মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিলেই ভাল।