
সাইনাস যার আছে, সে-ই বোঝে কষ্ট। ঠান্ডা লাগলে কষ্টের শেষ থাকে না। সারাক্ষণ নাক-মাথা ভারী হয়ে থাকে। মাথা তুলতে পারা যায় না সাইনাসের সমস্যায়। তখন ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।

সাইনাস হল মস্তিষ্কে অবস্থিত একটা প্রকোষ্ঠ, যেটা ভেন্টিলেশনকে ঠিক রাখে। প্রকোষ্ঠের ঝিল্লিতে কোনও রকম বাধা এলে বা মিউকাস জমলে, প্রদাহ তৈরি হলে সাইনাসের উপসর্গ দেখা দেয়।

শুধু যে ঠান্ডা লাগলেই সাইনাসের সমস্যায় বাড়ে, এমন নয়।জীবনধারায় নিয়মের এদিক-ওদিক হলেই সাইনাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে যায়। তবে, সাইনাস কোনও রোগ নয়। তাই ঘরোয়া উপায়ে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ঠান্ডার হাত থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন। সিগারেটের ধোঁয়াও থেকেও আপনাকে দূরে থাকতে হবে। চিনি ও মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া আর কী-কী করবেন, রইল টিপস।

সাইনাসে ভুগলে শীতের মরশুম একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। প্রতিদিনের ডায়েটে এক কোয়া রসুন রাখুন। সর্দি থেকে সাইনাস, শ্লেষ্মাজনিত অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে রসুন।

স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া সাইনাসের জন্য ক্ষতিকারক। এই অবস্থা এড়াতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে, এমন জায়গায় থাকুন। পাশাপাশি রোজ দু'চামচ করে মধু খান। মধু শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

রোজ এক টুকরো করে আদাও খেতে পারেন। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। রোজ এই উপাদান খেলে সাইনাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। চা বা স্যুপেও আদা দিয়ে খেতে পারেন।

একটু ঠান্ডা পড়লেই গরম জলের ভাপ নিন। গরম ভেপার নিলে শ্লেষ্মা বেরিয়ে যায়। এতে নাক ও মাথা ভারী হয়ে থাকার মতো উপসর্গও সহজে এড়ানো যায়। এছাড়া শীতকালে গরম জলে স্নান করুন। এতে আরাম মিলবে।