
ঋতু দেখে মাইগ্রেনের সমস্যা হানা দেয় না। কিন্তু যখন মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হয় তখন বসে থাকা দায় হয়ে পড়ে। মাথার এক পাশে মারাত্মক যন্ত্রণা হতে থাকে। তার সঙ্গে বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়।

মাইগ্রেনের উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে সমান হয় না। কিন্তু মাথার যন্ত্রণা প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই সমান হয়। শীতকালে জল খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় কীভাবে মাইগ্রেনের উপসর্গকে প্রতিরোধ করবেন, রইল টিপস।

মাইগ্রেনের উপসর্গকে কমাতে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। জলের পাশাপাশি স্যুপ, জলের রসও পান করুন। দেহে কোনও ভাবেই তরলের ঘাটতি হতে দেবেন না। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বাড়বে।

আদা মাইগ্রেনের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আদা মাইগ্রেনের উপসর্গ প্রতিরোধ করতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি আদা দিয়ে চা কিংবা গরম জলে আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।

চা-কফি বেশি খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। কিন্তু আপনি যদি অল্প ক্যাফেইন গ্রহণ করেন, ভেষজ চা পান করেন সেক্ষেত্রে মাইগ্রেনের সমস্যাকে বশে রাখতে পারেন। মাইগ্রেনের উপসর্গ কমাতে এক কাপ ভেষজ চা পান করতে পারেন।

ক্যামোমাইলের তেল মাইগ্রেনের উপসর্গকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণ ক্যামোমাইলের তেল নিয়ে কপালে মালিশ করতে পারেন। কিংবা গরম জলে ক্যামোমাইলের তেল মিশিয়ে ভেপার নিতে পারেন। আবার ক্যামোমাইলের চাও পান করতে পারেন।

ক্যামোমাইলের মতো পুদিনা পাতার চা ও তেল মাইগ্রনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মাথার যন্ত্রণা কমাতে পুদিনার তেল মালিশ করুন। পুদিনা পাতার চা পান করলেও মাইগ্রেনের উপসর্গগুলো কমবে।

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা শুরু হলে আরাম করুন। অন্ধকার, শান্ত ঘরে বিশ্রাম নিন। এছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। এতে মানসিক চাপ কমবে এবং মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ফিরে ফিরে আসবে না।