
উচ্চ রক্তচাপ হল, এমন একটি অবস্থা যেখানে তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের পিছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে উচ্চ রক্তচাপ। ১২০/৮০ হল নরম্যাল প্রেশার। এর উপরে উপরে উঠলেই সাবধান হওয়া জরুরি।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা একবার ধরা পড়লে সারাজীবন আপনাকে ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই প্রথম থেকে সচেতন থাকা জরুরি। তার সঙ্গে ডায়েটের উপরও নজর দেওয়া জরুরি।

হাই প্রেশার থাকলে নুন এবং নোনতা খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তার পাশাপাশি ডায়েটে রাখা দরকার পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কিডনির উপর চাপ কমায় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয়। এছাড়া পটাশিয়াম শরীরে তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের খোঁজে থাকলে আপনি কলা খেতে পারে। কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। আর সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম। রোজ একটা করে কলা খেলে আপনার প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যাবে।

আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে প্রতিদিন ২টো করে কাঁঠালি কলা খেতে পারেন। এতে ১ সপ্তাহের মধ্যে ১০% রক্তচাপ কমে যাবে। এখানেই শেষ নয়। কলার মধ্যে রয়েছে আরও গুণ, যা স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।

পটাশিয়াম ছাড়াও কলার মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং ফোলেট রয়েছে। মাঝারি সাইজের কলার মধ্যে প্রায় ১০৯ ক্যালোরি থাকে। কার্বোহাইড্রেটেড ২০ গ্রাম, ১৮ গ্রাম শর্করা এবং ১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যদিও এগুলো উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।

নিয়মিত কলা খেলে আপনার হাড়ও মজবুত হবে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম। পাশাপাশি এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এমনকী হজম স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে কলা। হজমের গোলযোগে ভুগলে অবশ্যই কলা খান। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।

ব্রেকফাস্টে আপনি কলা খেতে পারেন। স্বাদ বদলানোর জন্য কলার প্যানকেক কিংবা ওটস ও দুধ দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন। গরমে আপনি চিঁড়ে ও দই দিয়ে কলা মেখেও খেতে পারেন। এতে যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই শরীরস্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।