
কিশোর বয়স থেকেই মেয়েরা ভুগছে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের জেরে পিসিওএস-এর সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তার থেকেও বড় সমস্যা হল, এই অবস্থা থেকে পালানোর উপায় নেই।

বর্তমানে ছোট থেকে বড়, কম-বেশি সকলেই দেহের ওজন নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেহের অতিরিক্ত ওজন কেবল দৃষ্টিকটূ লাগে না, বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ায় অতিরিক্ত মেদ

পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলে দেহে ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স বেড়ে যায়। এতে ওভারিতে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) বেশি পরিমাণ উৎপাদন হতে থাকে। ওজন কমালে এই ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও উন্নত হয়।

দেহে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওভারিতে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা কমায়। এতে পিসিওএস-এর উপসর্গগুলোও নিয়ন্ত্রণে থাকে। দেহে অন্যান্য হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখলে সময়মতো পিরিয়ডও হবে। পিসিওএস-এ আক্রান্ত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা খুব কমন। এই সমস্যা দূর করতে ওজন কমানো ভীষণ জরুরি।

যে সব মহিলারা পিসিওএস-এ ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি বেশি। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ। এসব সমস্যা এড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ওজনকে কমানোও দরকার।

পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগলে প্রজনন স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেয়। ওজন কমালে ওভালুয়েশন নরম্যাল হয় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে।

পিসিওএস-এ ওজন কমানো কষ্টকর নয়। ওজনকে ধরে রাখা চ্যালেঞ্জের। তবে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট, যোগব্যায়াম, মানসিক চাপ কমিয়ে সহজেই ওজন কমানো যায়।