গ্রীষ্মের অন্যতম ফল হল কাঁঠাল। এটি এমন একটি ফল, যা কাঁচা এবং পাকা- দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায় এবং দুই অবস্থায় দু-রকম স্বাদ। কাঁচা অবস্থায় এটি সবজি, এঁচোড় এবং পাকা হলে হয়ে যায় কাঁঠাল ফল
এঁচোড় বা কাঁঠালের বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে। এঁচোড়কে নিরামিষ মাংস বলা হয়। এটি মাংসের মতো রান্না করা হয় এবং স্বাদেও মাংসের থেকে কম নয়। আবার কাঁঠালের বীজ দিয়েও নানা সুস্বাদু পদ রান্না হয়
এঁচোড় থেকে কাঁঠালে, এমনকি কাঁঠালের বীজেও ভিটামিন-এ, সি থেকে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিনের মতো নানা খনিজ পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষজ্ঞের মতে, এঁচোড় বা কাঁঠালে একাধিক পুষ্টিগুণ থাকলেও সকলের জন্য এটা উপকারী নাও হতে পারে। কয়েকটি শারীরিক সমস্যা থাকলে পাকা এঁচোড় অর্থাৎ কাঁঠাল খাওয়া একেবারে উচিত নয়, হতে পারে মারাত্মক
আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। এছাড়া আলুতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেটের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের আলু খাওয়া উচিত নয়
হজমের সমস্যা থাকলে ভুলেও কাঁঠাল খাবেন না। কাঁঠালে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা হজম করা কষ্টকর। ফলে কাঁঠাল বমি, পেট ব্যথা ও বদহজমের কারণ হতে পারে
ত্বক সংবেদনশীল হলে এবং অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কাঁঠাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এটা খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি, অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে
বিশেষ শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলেও গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া এড়িয়ে চলা ভাল। কাঁঠাল গরম প্রকৃতির। ফলে এটা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ছোট শিশুদেরও কাঁঠাল খাওয়ানো উচিত নয়। হজমের সমস্যা হতে পারে