ব্রেকফাস্টের যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনই সময়ের মধ্যে খাবার খাওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। বেশি দোরি করে খেলে সেই খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে আর তা শরীরের জন্যেও ক্ষতিকারক। ওজন মাত্রাছাড়া ভাবে বাড়তে থাকে
প্রত্যেক মানুষের কাজের ধরণ আলাদা। আর তাই সেই সময় মেনে রাত ৮ টার মধ্যে অনেকেই ডিনার করতে পারেন না। এতে কিন্তু ক্ষতি হয় নিজেরই। বেশি দেরি করে খাবার খেলে শরীর তার সঠিক পুষ্টি পায় না
রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় হল রাত ৮ টা। অর্থাৎ ৮ টার মধ্যে খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলতে হবে। রাত বাড়লে আমাদের শরীরে ক্যালোরি পোড়ানোর ক্ষমতা কমে যায়। বিপাকীয় হার কমতে থাকে। যে কারণে শরীরে চর্বিও বেশি জমে
গবেষণা বলছে আমাদের শরীর ২৪ ঘন্টা একটা ছন্দে চলতে থাকে। এর মধ্যে শরীর আমাদের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজ সেরে ফেলে। অর্থাৎ খাওয়া ঘুম ইত্যাদি। যদি সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে সারাদিনের খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলা যায় তাহলে আমাদের রক্তশর্করা ঠিক থাকে
এখন অধিকাংশই ভুগছে সুগারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। তবে ঠিক সময় মেনে খেলে কিন্তু সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঙ্গে ওজন বাড়বে না, হজমের সমস্যা, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মত যাবতীয় পেটের সমস্যা সেরে যাবে
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন ঘুমোতে য়াওয়ার অন্তত ৯০ মিনিটট আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলতে হবে। এতে কোনও রকম হজমের সমস্যা হবে না। মেটাবলিজম ঠিক থাকবে। কোলেস্টেরলও থাকবে নিয়ন্ত্রণে
রোজ রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলবেন, এটা একদম অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। তাহলে খিদে পাবে না মধ্যরাতে, খাবার ঠিক ভাবে হজম হবে আর শরীরেও কোনও রকম সমস্যা আসবে না। রোজ একই সময় মেনে চলুন
যতই ঘুম পাক না কেন খালি পেটে ঘুমোতে যাবেন না। অন্তত কিছু খেয়ে ঘুমোবেন। নইলে নিজেরই ক্ষতি। না খেয়ে ঘুমোলে হজমের সমস্যা হবে। পরদিন যা খাবেন সেখান থেকে গ্যাস-অ্যাসিডিটি হতে পারে। খাবার মেপে খান, কম খান, রোজ দু কাপ করে হার্বাল চা খান, ফাইবার বেশি খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ