Curd: শীতকালে দিনের কোন সময় দই খেলে কমবে রোগের ঝুঁকি? রইল টিপস
Diet Tips: গরমকালে রোজ দই খাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এখন বঙ্গে শীতের আমেজ। ঋতু অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়াও পরিবর্তন হয়। কিন্তু শীতকালে দই খাওয়া কি উচিত? শীতকালে দই খেলেও কোন সময়ে খাবেন এবং এতে কী-কী উপকারিতা মিলবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
গরমকালে রোজ দই খাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এখন বঙ্গে শীতের আমেজ। ঋতু অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়াও পরিবর্তন হয়। কিন্তু শীতকালে দই খাওয়া কি উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও ঋতুতেই আপনি দই খেতে পারবেন। আর শীতের মরশুমে বিশেষ করে দই রাখা দরকার। তবে, রাতে দই খাওয়া চলবে না। ব্রেকফাস্টেও অনেকে দই খান। কিন্তু শীতকালে দই খেতে হবে দুপুরবেলা।
দুপুরবেলা ভাত খাওয়া শেষ করার পর দই খান। দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিক রয়েছে। লাঞ্চের সঙ্গে দই খেলে এটি হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।
ব্রেকফাস্টে দই খেলেও দেহে প্রোটিন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। ব্রেকফাস্টে ফলের সঙ্গে দই খেতে পারেন। কিন্তু রাতে দই খেলে পেট ফুলে যাওয়া ও বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুপুরবেলা ভাতের সঙ্গে পাতে দই রাখুন।
লাঞ্চে দই খেলে আপনি ওজনও কমাতে পারবেন। দই কর্টিসল বা স্টেরয়েড হরমোনের উৎপাদন কমায়। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাছাড়া হজম স্বাস্থ্য উন্নত হলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।
শীতকালে বাতের ব্যথা বাড়ে। তার পাশাপাশি জ্বর-সর্দির সমস্যা লেগেই থাকে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই কাজটা করবে দই। দই ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মহিলাদের জন্য দই খাওয়া ভীষণ জরুরি। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজাইনাল ইস্টের ভারসাম্য বজায় রাখে। দই খেলে মূত্রনালির সংক্রমণ সহজেই এড়ানো যায়।
শীতকালে অনেক সময় রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে দুপুরের খাবারের পাতে দই রাখুন। দইয়ের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।