পায়খানা করতে গিয়ে মলদ্বারে জ্বালা বা রক্তপাত হচ্ছে? মলদ্বারের কাছে ফোঁড়ার মতো কিছু হয়েছে? বা ব্যথা? অনেক মহিলাই এই সমস্যার শিকার হন। মূলত, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে এরকম হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগলে এটা ফিসার-এর উপসর্গ হতে পারে। অর্থাৎ মলদ্বারের আস্তরণ ছিঁড়ে যায়। এরকম হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ফিসারের চিকিৎসা না করলে পাইলস বা অর্শ-এর সমস্যা হতে পারে। অর্থাৎ পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়বে, মলদ্বার থেকে মাংসল অংশ বেরিয়ে আসে, যার থেকে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। মহিলাদেরই এই সব সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত, গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের প্রোজেস্টেরন হরমোন বাড়ার ফলে এই সমস্যা হয়। এটা কখনও অবহেলা করবেন না
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মহিলারা ফিশ্চুলার সমস্যারও শিকার হন। পায়খানা করার সময় মলদ্বার থেকে তৈলাক্ত তরল নিঃসরণ হয়। মলদ্বারের গ্রন্থি সংক্রমিত হলে ওই তৈলাক্ত তরলের বদলে পুঁজ-রক্ত নিঃসরণ হয় এবং ব্যথা হয়। এটাই ফিশ্চুলা। এটা অবহেলা করলে সংক্রমণ ভিতরে ছড়িয়ে যেতে পারে, যার ফল হতে পারে মারাত্মক
অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) বা ওভারি সিস্টের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে পিরিয়ডসের সমস্যা হয়। অর্থাৎ সময়মতো পিরিয়ডস হয় না বা তলপেটে ব্যথা হয়। এগুলি অবহেলা করলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, এমনকি ওভারি ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়
ভ্যাজাইনাতে অনেক সময় জ্বালাভাব, চুলকানি, আঁশটে গন্ধ, সাদা স্রাব এবং ব্যথা অনুভূত হয়। নানা কারণে এটা হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে সুগন্ধী সাবান, ওয়াশ, লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই খুব মাইল্ড সোপ দিয়ে ভ্যাজাইনা ধুয়ে নিন। তারপরেও হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
অনেক মহিলার ভ্যাজাইনা শুষ্ক হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলেও শারীরিক কষ্ট হয়। এছাড়া ভ্যাজাইনা শুকনো হয়ে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। একটানা হরমোনের ওষুধ খেলে, সন্তানকে স্তন্যপান করালে এবং মেনোপজের আগে এই সমস্যা হতে পারে। তবে বিষয়টি টানা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
আজকাল মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের হার বেড়ে গিয়েছে। তাই এই বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। নিজেরাই স্তনের পরীক্ষা করতে পারেন। স্তনে ফোলাভাব বা লালচে ভাব, স্তনবৃন্তে ব্যথা, স্তনবৃন্ত থেকে তরল কিছু নিঃসরণ হওয়া স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। এগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যুগ বদলেছে। কিন্তু, এখনও অনেক মহিলাই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন নন। অনেক মহিলা আবার এখনও ইউরেট্রাস, মলদ্বার বা প্রজনন সম্পর্কিত সমস্যায় ডাক্তার দেখাতে লজ্জা বা বিব্রত বোধ করেন। কিন্তু, সেটা করলে রোগ ধরতে দেরি হয়ে যায়। ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই স্ত্রী-রোগ সমস্যা দেখা দিলে কখনও গোপন করা উচিত নয়