ফুটবল জার্সির রঙে আকাশি ও সাদা রঙের সংমিশ্রণ। এই জার্সির মাহাত্ম্য একমাত্র বলতে পারবেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকদের বাড়িতে হয় নতুন জার্সি আসবে, অথবা দেরাজ থেকে বের করা হবে পুরনো জার্সি, পতাকা। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে গলা ফাটালেও এর নেপথ্য কাহিনিটা কি জানেন? (ছবি:টুইটার)
কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিদের জার্সিটি ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের আদলে তৈরি। এ বারের জার্সিতেও গলার কাছে কালো বর্ডার দেওয়া। তবে কাট আলাদা। মূলত আর্জেন্টিনার জার্সি তৈরি করে থাকে অ্যাডিডাস। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল বাদ দিয়ে অ্যাডিডাসের তৈরি জার্সি গায়ে দিয়ে বিশ্বকাপ খেলে আসছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। (ছবি:টুইটার)
১৯৩০ সাল থেকেই আর্জেন্টাইনদের গায়ে চড়েছিল আকাশি সাদা জার্সি। সঙ্গে ডিপ ব্লু রঙের শর্টস। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে নীলের পরিবর্তে কালো শর্টস পরে খেলা শুরু করে আর্জেন্টিনা।(ছবি:টুইটার)
১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দিয়োগো মারাদোনার কুখ্যাত 'হ্যান্ড অব গড'। সেবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ওই আকাশি-সাদা ডোরাকাটা জার্সির পরিবর্তে গাঢ় নীল রঙের জার্সি পরে নামতে হয়েছিল। মেক্সিকোর লোকাল মার্কেট থেকে নীল জার্সি কিনে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাজ সেলাই করে লাগানো হয়। সেই জার্সি গায়েই ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত গোলটি করে ফেলেন মারাদোনা।(ছবি:টুইটার)
কাতার বিশ্বকাপ লিওনেল মেসি কেরিয়ারের শেষ ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবল গ্রহের অন্যতম সেরা শিল্পী কি শেষ পর্যন্ত আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারবেন?(ছবি:টুইটার)