একটু আবহাওয়া পরিবর্তন হতেই বঙ্গবাসী ভুগছে সর্দি-কাশির সমস্যায়। বৃষ্টি পড়তেই দেখা দিয়েছে খুশখুশ কাশির সমস্যা। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য নিতে পারে ঘরোয়া টোটকার। বেশি কসরত না করেই কমে যাবে এই সব সমস্যা।
জলে নুন দিয়ে হালকা গরম করে নিন। এই জল দিয়ে গার্গল করলে খুশখুশে কাশির সমস্যা সেরে যাবে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য গলাকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। এটি নালীগুলিতে প্রদাহ এবং সংক্রমণও দূর করে। তবে এই ক্ষেত্রে সবসময় শুধুমাত্র শিলা লবণ ব্যবহার করুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে গলা ব্যথা কমবে, কাশিও কমবে। যদি কফ থাকে তাও দূর হয়ে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ইষদুষ্ণ জলে একচামচ অ্যাপেল সিডার আর মধু মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা পান করুন। উপকার পাবেন।
লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ, আদা, তুলসি পাতা, তেজপাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে খান। এতে গলায় আরাম পাওয়া যাবে। খুশখুশে কাশির সমস্যা কমবে। সেই সঙ্গে যদি কোনও ব্যারকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে থাকে তার হাত থেকেও মিলবে রেহাই। এই মিশ্রণটি দিনে অন্তত দু' বার পান করুন।
মধু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ঔষধি গুণে ভরপুর। কাশির সময় এর সেবন খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনি চাইলে জলে আদা সেদ্ধ করে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন অথবা গ্রিন টি-তে মধু যোগ করে পান করতে পারেন। এতে আপনার কাশির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
হলুদের অনেক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এই কারণে এটি অনেক রোগ প্রতিরোধের জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়। শুকনো কাশির সমস্যায় রাতে হালকা গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়।