
নারকেল তেল- নারকেল তেল হল সবচেয়ে সস্তায় উপকারী ও ঘরোয়া টোটকা। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড, যার কারণে ত্বকের ইলাস্টিকসিটি উন্নত করতে, ত্বকের মৃতত কোষকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নারকেল তেল দিয়ে গোটো শরীর মাসাজ করা দরকার।

শিয়া বাটার- ১ টেবিল চামচ শিয়া বাটার নিন। ডাবল বয়লারের সাহায্যে শিয়া বাটারটা গলিয়ে নিন। তারপর এটা একটু ঠাণ্ডা করে নিন। এটি সমস্ত স্ট্রেচ মার্কগুলিতে প্রয়োগ করুন এবং আঙুল দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকে ২০-৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল- পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে ৫ টি ভিটামিন-এ ক্যাপসুল তেল এবং ১০ টি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এরপর সেই পেস্টটি স্ট্রেচ মার্কের উপরে লাগিয়ে ততক্ষণ মাসাজ করুন, যতক্ষণ না মিশ্রণটি একেবারে শুকিয়ে যায়। নিয়মিত এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে এমন দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না।

জিলাটিন- কোলাজেন হল এমন একধরনের জেল, যা শরীরেরসঙ্গে মিশে থাকে। কোলাজেন ত্বককে টানটান করতে, স্থিতিস্থাপক করে তুলতে ও ত্বকের মধ্যে মৃত কোষ গুলি হঠাতে সাহায্য করে। জেলাটিনে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, গ্লাইসিন ও প্রোলিন। যা কোলাজেনের গঠনকে আরও শক্তিশালী, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে, বলিরেখার চিহ্ন নির্মূল করতে, পাচনতন্ত্রকে উন্নত করতে, গাঁটের ব্যাথা হ্রাস করতে, অন্ত্রের প্রদাহকে কমাতে সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েল- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আরগান তেল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে স্ট্রেচ মার্কের ওপর মালিশ করতে পারেন। প্রতিদিন ভাল ভাবে তেল মালিশ করলে শরীরে রক্ত চলাচল উন্নত হবে এবং আপনার স্ট্রেচ মার্কের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

ডিমের সাদা অংশ- স্ট্রেচ মার্ক নির্মূল করতে ডিমের সাদা অংশ বেশ উপকারী। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যা ত্বককে পুনুরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে। দুটি ডিমের সাদা অংশে নিয়ে তাতে ৩ ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফেলুন। এবার এটি স্ট্রেচমার্কের ওপর ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে পরিস্কার করে নিন। এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে ফল ভাল পাবেন।