অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, খাবার খাওয়ার পরই রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে খুব বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থাকে বলে আফটার মিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া। এই অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি টিপস।
কী খাবার খাবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে। মিষ্টি, ময়দার তৈরি পাউরুটি এবং অন্যান্য খাবার সীমিত পরিমাণে খান। অনেক সময় এই খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
একবারে বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া খান। প্রয়োজন কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর খাবার খান। এটি আপনাকে আকস্মিক সুগার লেভেল ওঠানামা রোধ করতে সাহায্য করবে। সহজে বেড়ে যাবে না রক্তে শর্করার মাত্রা।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনি খেলে ইনসুলিন নিঃসরণে বাধা দেয়। ফলে শরীর রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। তাই সুক্রোজ এবং হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ ডায়েট থেকে বাদ দিন।
ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্দান্ত কার্যকর। বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করার স্পাইক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর জন্য আপনি ওটমিল, বাদাম, বিভিন্ন শাকসবজি, আপেল, কমলালেবু, ব্লুবেরি ইত্যাদি খেতে পারেন।
শরীর ডিহাইড্রেট হলে, শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামক একটি হরমোন উৎপাদন হয়। এটি কিডনির তরল ধরে রাখতে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত চিনি বের করে দিতে বাধা দেয়। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন এবং সুস্থ থাকুন।