
ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন হল ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসার একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিকার। কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা শরীরের ভারসাম্যহীনতা নিরাময়ের জন্য ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করতে সুপারিশ করে আসছেন। এটি শরীরে সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী এবং প্যাথোজেনের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। এমনকি কখনও কখনও কাঁচা বা ভুলভাবে রান্না করা খাবারও পেট খারাপের কারণ হতে পারে। এই ধরনের শারীরিক অবস্থায় আমাদের শরীরে তরলের ঘাটতি দেখা যায়।

কোনও খাবারের বিষক্রিয়া, সংক্রমণ, ওষুধের প্রতিক্রিয়ার মতো বিভিন্ন কারণে বমি হতে পারে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের বমির কারণ বোঝা গেলেও, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই তা ব্যাখ্যা করা যায় না এবং বাচ্চাদের বমির সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়। সাধারণত বমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমে যায়; কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যখন শরীর কোনও ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, তখন প্রায়ই জ্বর হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদিও ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যাগুলি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে নিরাময় হয়। তবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমাদের ডিহাইড্রেশনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয়। যার ফলস্বরূপ ঘর্মগ্রন্থিতে ঘাম জমা হয়ে আমরা ঘামতে থাকি। পাশাপাশি অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা বাড়লে অথবা বেশি পরিশ্রমের কাজ করলে এই সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিতে বিঘ্ন ঘটে। তাই এই ধরনের অঘটন এড়াতে আমাদের ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি করা উচিত।

বমি করার আগে আমাদের এক অত্যন্ত অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়েও এটি একটি সাধারণ লক্ষণ। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ৮০% মহিলা গর্ভবতী হওয়ার পরে বমি বমি ভাব অনুভব করেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ওআরএস শরীরের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।